রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরে নৌকা প্রতীকের একটি প্রচার কেন্দ্র ভাঙচুরের অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আছাদুজ্জামান আকন্দ বাবুকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাবুকে সাময়িক অব্যাহতির বিষয়ে অবগত করা হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, '২৭ ডিসেম্বর দুপুর ২টার সময় জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হক দাখিল মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রের জন্য গঠিত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কসহ পাঁচজনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় চিহ্নিত বিএনপি দলীয় সস্ত্রাসী এবং মাদক কারবারিদের মদদ দিয়ে, আপনি (আছাদুজ্জামান) এহেন অপরাধ সংগঠিত করেছেন। ওই বিষয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অভিযোগ রয়েছে। ওই বিষয়ে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় আপনিকে (আছাদুজ্জামান) এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।'

'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে জামায়াত-বিএনপি জোটের যে অপতৎপরতা দেশব্যাপী চলমান রয়েছে তার অংশ হিসেবে ভোট কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে চিহ্নিত বিএনপিদলীয় সস্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছেন বিধায়, আপনি সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন।'

'দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আপনাকে (আছাদুজ্জামান) গঠনতন্ত্রের ৪৭ (৬) অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো। কেন আপনাকে (আছাদুজ্জামান) চূড়ান্তভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কার প্রদানের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করা হবে না-তা আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করার জন্যে বলা হলো।'

এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবু জানান, যে সময়ে ওই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সেসময় আমি একটি জানাজায় ছিলাম। এর সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই। স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজনুর পক্ষে কাজ করছি বলেই এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

(আরআর/এসপি/ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩)