কাজী নজরুল ইসলাম, শরীয়তপুর : শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোঃ ইকবাল হোসেন অপু একেবারেই উৎকন্ঠাহীন, নির্ভার। পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতায় থাকলেও তার সাথে কারো কোন প্রতিযোগিতা নেই, মাঠে নেই কোন শক্ত প্রতিপক্ষ। তবুও রাত-দিন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থী নিজে, তার পরিবারের সদস্যরা এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা।

জাতীয় সংসদের ২২১, শরীয়তপুর-১ আসনটি শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা নিয়ে গঠিত। ২টি পৌরসভা এবং ২৩টি ইউনিয়ন রয়েছে এ আসনে। ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩ শত পুরুষ, ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৮ নারী এবং মাত্র ১১ তৃতীয় লিঙ্গ(হিজরা) মোট ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩ শত ৩৯ জন ভোটার রয়েছেন আসনটিতে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার প্রার্থী মোঃ ইকবাল হোসেন অপু, জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে এ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ নিয়ে মুফতি আব্দুস সামাদ কাসেমী, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আঁশ(পাট) নিয়ে আবুল বাসার মাদবর এবং ঈগল পাখি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা হাওলাদার প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নৌকা ব্যতিত অন্য কোন প্রার্থীর চোখে পরার মত কোন প্রচার প্রচারনা না থাকলেও নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় মুখরিত গোটা নির্বাচনী এলাকা। এ আসনের বর্তমান সাংসদ এবং আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ইকবাল হোসেন অপু গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় রুটিন করে পথসভা, উঠোন বৈঠক, গণসংযোগ করে চলেছেন। প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০টি কর্মসূচিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে অংশ গ্রহন করছেন। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তার ভোট ভিক্ষার কাজ। অপু শুধু নিজেই নন, তার স্ত্রী নিলুফার হোসাই নাহিদ অর্ধ শতাধিক নারীদের সমন্বয়ে গঠিত টীমের নেতৃত্ব দিয়ে শত শত নারী ভোটারদের নিয়ে প্রতিদিন ৪/৫ টি করে উঠান বৈঠক করে চলেছেন। সাংসদপুত্র দানিব বিন ইকবাল আদরও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নৌকার জন্য ভোট চাইছেন নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রাম মহল্লা ও হাট বাজারে।

পালং-জাজিরা নির্বাচনী এলাকা ছেয়ে গেছে নৌকা প্রতীকের পোষ্টার ব্যানার ফ্যাস্টুনে। কয়েক শত নির্বাচনী ক্যাম্প (প্রচার কেন্দ্র) স্থাপন করে উৎসবমূখর পরিবেশে চলছে নির্বাচনের প্রচার। গোটা নির্বাচনী এলাকা জুরে দুপুর দুইটার পর থেকে রিক্সা ভ্যান ইজিবাইকে করে শুরু হয় প্রচারনা। গত ১৫ বছরে সরকারের গণমূখী উন্নয়ন নিয়ে বাহারী সুর ও ছন্দে বিভিন্ন শিল্পীদের কন্ঠে গাওয়া নির্বাচনী গান মাতিয়ে রাখছে এলাবাসীকে।

নির্বাচনী এলাকার ১৩৫টি ভোট কেন্দ্রের জন্য প্রতি কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। উপজেলা এবং পৌর শাখা আওয়ামী লীগ, স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও প্রতিদ্বন্দিতাকারী, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগ ও কৃষক লীগের নেতৃত্বে কয়েক শত টীম প্রতিনিয়ত মাঠে কাজ করছে। ইকবাল হোসেন অপুর কর্মীরা প্রচারপত্র হাতে রিয়ে ঘরে ঘরে প্রতিজন ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন। ৭ জানুয়ারী রবিবার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সকল ভোটারকে তাদের মূল্যবান ভোট নৌকা প্রতীকে প্রদানের জন্য অনুরোধ করে চলেছেন।

শক্ত প্রতিপক্ষহীন মাঠে ব্যাপক আকারের এই প্রচারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী ইকবাল হোসেন অপু বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, জাতির পিতার সুযোগ্য তনয়া টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে এক অনণ্য উচ্চতায় পৌছে দিয়েছেন। তিনি একটি পিছিয়ে পরা দেশে নজীরবিহীন উন্নয়নের সোপান তৈরী করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সৎ, যোগ্য ও সাহসী নেতৃত্বে দেশের মানু্ষ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। অনুন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশী ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সকল সফলতাকে মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রতিজন ভোটারের কাছে ভোট ভিক্ষা করে চলেছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় ৭ তারিখে সন্তোজনক হারে স্বচ্ছতার সাথে ভোট প্রদানের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাজ করছি। মানুষ যাতে উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

(কেএন/এসপি/জানুয়ারি ০৩, ২০২৪)