ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনা-৪ আসনের ঈশ্বরদী উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন বর্জনকারীদের দুয়েকটি এলাকায় ককটেল ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ছাড়া কোথায়ও কোন সহিংসতা ঘটেনি কোথায়ও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঈশ্বরদীর ৮৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহন ছিলো শান্তিপূর্ণ। ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্বতন্ত্রের ঈগল, মশাল, গামছা ও আম প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের দেখা গেছে।  শীতের প্রকোপে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঈশ্বরদী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ ভোট প্রদান করেন।

সকাল আটটায় ভোটগ্রহন শুরুর আগে ভোট বিরোধীরা এস এম স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এবং পিয়ারপুর এলাকায় আতংক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও দুপুর দেড়টার দিকে সরকারি এস এম স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের পাশে গোকুলনগর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। আওয়ামী অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে দূর্বৃত্তদের ধাওয়া করে। তাৎণিক আইন শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও ভোটগ্রহনকারী কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের কঠোর তদারকির কারণে ব্যালটে সিল মেরে নেওয়া এবং জাল ভোট প্রদানের কোন সুযোগ ছিলো না। এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেওয়ার কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভোট কেন্দ্রের আশেপাশেও ছিলো নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ঈশ্বরদীতে ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। কোথায়ও কোন সহিংসতা বা অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেনি। আইন শৃংখলা বাহিনী সবসময় তৎপর থাকার কারণে ভোট কেন্দ্রগুলোতে মানুষ নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট দিতে পেরেছে। সকালে ভোট গ্রহনের পূর্বে দূর্বৃত্তরা দুটি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় আর কোন ঘটনা ঘটেনি।

(এসকেকে/এসপি/জানুয়ারি ০৭, ২০২৪)