স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষার সব কাজের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা থাকতে হয় উল্লেখ করে নতুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে প্রথম অফিস করতে গিয়ে সাংবাদিকদের দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।

আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ কি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ, এই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমরা দেখেছি পাঁচটি বছর সফলভাবে সদ্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে কাজ করেছি।

শিক্ষায় নানান ধরনের রূপান্তরের কাজ শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সূচনা করেছি। এই সূচনার কাজগুলোর পেছনে কিন্তু আমাদের পূর্বে যিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, এখন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, তিনি সেই ভীতগুলো রচনা করে দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার সব কাজের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা থাকতে হয়। সুতরাং এখানে নতুন করে হঠাৎ করে কোনো কিছু চিন্তা করার অবকাশ খুবই কম। তাই সেই ধারাবাহিকতার মধ্যেই রূপান্তর, ধারাবাহিকতার মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। এই ধারাবাহিকতার মধ্যেই স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করার জন্য স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আমাদের প্রয়োজন, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের বলে দিয়েছেন বিশাল যে জনগোষ্ঠী, বিদ্যালয় পর্যায়ের শেষ করে তাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। প্রায় এক কোটির ঊর্ধ্বে। বিশাল জনগোষ্ঠী যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে, এই যে বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব জায়গাতেই তাদের কর্ম সংশ্লিষ্ট যেসব দক্ষতা রয়েছে, সেগুলো যাতে ন্যূনতম সবাইকে দিতে পারি।

কর্মসংশ্লিষ্ট দক্ষতাগুলোর বিষয়ে তিনি আমাদের বিশেষ জোর দিতে বলেছেন। কারণ এবারে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হচ্ছে কর্মসংস্থান। স্মার্ট সিটিজেন করতে হলে কর্মসংস্থান করতেই হবে এবং কর্মসংস্থানের জন্য মাল্টি স্কিল্ড স্মার্ট সিটিজেন আমাদের খুব প্রয়োজন। আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার ওপর জোর দিতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, কারিকুলাম নিয়ে কাজ হয়েছে কারিকুলাম তো হঠাৎ করে আসেনি। সেটা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা থাকবেই সেটাই স্বাভাবিক। সে আলোচনা সমালোচনাগুলো মাথায় রেখেই দুর্বলতা থাকলে সেখানে সমস্যা থাকলে, মূল্যায়নের জায়গায় একটা আলোচনা আছে মূল্যায়নটা যাতে এমন না হয় যাতে সেটা প্রতিবন্ধকতা হিসেবে পরিণত হয়। সেগুলো বিবেচনা করেই আমরা আগামী দিনগুলোতে শিক্ষা পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাজ করবো।

মূল্যায়নে কি তাহলে পরিবর্তন আনছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে দেখা যাবে যে পদ্ধতি আমরা এরই মধ্যে শিক্ষাবিদরা কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ নির্ধারণ করেছেন সেটার মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটা আমরা এখন দেখতে পাবো। তো দেখতে পেলে আমরা আগেও বলেছি, যে এটা স্থায়ী কোনো বিষয় নয়। এটা যে আমাদের মেনটেইন করতে হবে তা কিন্তু নয়। সেখানে পরিবর্তন প্রয়োজনে অবশ্যই আসবে। তা আগেও বলা হয়েছে এখনও আমি বলছি। পরিবর্তন প্রয়োজন সাপেক্ষে অবশ্যই আসবে।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১৪, ২০২৪)