সাভার প্রতিনিধি : ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার চিরচেনা মহাসড়ক ও ফুটপাতের চেহারা বদলে গেছে। থেমেছে হকারদের দৌরাত্ম্য। চলাচলের পথে নেই ভাসমান দোকানপাট। ফুটপাতের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের কারণে সুন্দর পরিবেশ ফিরেছে মহাসড়কে। সাভার-আশুলিয়া অর্থাৎ ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রচেষ্টায় শান্তি ফিরেছে ফুটপাত ব্যবহারকারী সাধারণের মনে। ফুটপাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পেরে খুশি পোশাক শ্রমিকসহ সাধারণ জনগণ।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, ডিইপিজেড, বলিভদ্র, শ্রীপুর এলাকায় ঘুরে দেখা যায় মহাসড়ক ও ফুটপাতে কোন হকার বসতে দেওয়া হয়নি। মহাসড়কের সার্ভিস লেন সহ সড়কজুড়ে তেমন কোনো যানজট নেই। ফুটপাত একেবারেই ফাঁকা। কোথাও কোনো জটলা নেই। পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যেই হেঁটে চলাচল করছেন।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি থেকে সাভারে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশপাশে পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযান শুরু হয়। সাভারের বিভিন্ন সড়কে করা হয় মাইকিং। চাঁদাবাজ ও অবৈধ দখলদারদের সতর্ক করতে এ মাইকিং এর উদ্যোগ নিয়েছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য। বুধবার ছিল ফুটপাতে হকার উচ্ছেদের ৮ম দিন। এদিনও আশুলিয়ার শ্রীপুর ও সাভারের বেশ কিছু স্থানে নিরবিচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে পুলিশকে। ফুটপাতে বসতে দেয়া হয়নি হকারদের। এর আগেও বিভিন্ন সময় সড়ক ও ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদে একাধিক অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও সওজ। কিন্তু অভিযান শেষ হতে না হতেই ফুটপাত আবার হকারদের দখলে চলে যায়। বছরের পর বছর এভাবেই চলে আসছে। এ থেকে শিল্পাঞ্চলকে মুক্তি দিতে দৃঢ় উদ্যোগ নেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য। কিন্তু সাইফুল ইসলামের এ উদ্যোগ কত দিন থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত সাভার-আশুলিয়াবাসী।

ঢাকা-১৯ আসনের (সাভার-আশুলিয়া) নতুন এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, যানজট নিরসণ মূলত হাইওয়ে পুলিশের কাজ। আমরা হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছি, অনেকটা যানজট মুক্ত হয়েছে। আমাদের লোকাল লেনে যে ফুটপাথ বসেছিল সেগুলো ইতিমধ্যেই দখলমুক্ত করে যান চলাচলের জন্য সচল করে দেয়া হয়েছে। এখন অনেকটাই যানজট নিরসণ হয়েছে।

পোশাক শ্রমিক তুষার আহমেদ বলেন, চেষ্টা থাকলে কি না সম্ভব? যেটা আমাদের নতুন এমপি সাইফুল ইসলাম দেখাচ্ছেন। এখন আমাদের হাঁটতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। রিকশা ভাড়া লাগছে না। বাসা থেকে হেঁটেই কর্মস্থলে এসেছি আবার হেঁটেই বাসায় যাচ্ছি। অনেক ভালো লেগেছে। আগামীতেও এমন চিত্র দেখতে চাই। এমপির এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে সাভার আশুলিয়ার চেহারা বদলে যাবে।

তিনি আরো বলেন, তবে এর আগেও আমরা দেখেছি পুলিশ অভিযান চালিয়ে চলে যাওয়ার পরে সেই আগের মতো আবার সড়ক ও ফুটপাত হকারের দখলে চলে যায়। তবে এবার কিন্ত এমন টা দেখতেছি না। অভিযান চালিয়ে সরিয়ে দেওয়ার তিন চার দিন পরেও সড়কের কোন যায়গা হকার বসতে দেখি নাই।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, আমরা যেখানেই দেখব চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে সেখানেই অভিযান চালাবো।

(এসএস/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০২৪)