একে আজাদ, রাজবাড়ী : বাংলাদেশ সরকারের রেল মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে রেলমন্ত্রী করার পর রাজবাড়ীতে আমার প্রথম আগমন। আমাকে মন্ত্রীর পদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজবাড়ীবাসীকে সম্মানিত করেছেন। রেলপথকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করে প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দেয়ার জন্য যা যা করতে হয় তার সবই করা হবে।

রাজবাড়ী রেলের শহর। রেলের সুদিন ফিরিয়ে আনতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিএনপির আমলে বন্ধ হওয়া লোকশেডকে ঘিরেই আবর্তিত হবে রাজবাড়ীর রেল। কাজেই শীঘ্রই লোকশেড চালু হবে। রাজবাড়ীকে রেলের ডিভিশনাল শহর করার চেষ্টা থাকবে। রেলকে দুর্ণীতি মুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলা হবে। জমি দখল, এক জমি ৩ বার করে লীজ দেয়া এসব বন্ধ করা হবে। আমাদের দলীয় কাউকে কোন অন্যায় করার সুযোগ দেওয়া হবে না।

শপথ গ্রহণের পর রাজবাড়ী জেলায় প্রথম আগমন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কতৃক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। সংবর্ধনায় দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ ব্যাপক গণসংবর্ধনা প্রদান করেন।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বাংলাদেশ সরকারের রেল মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম এমপিকে একটি সোনার নৌকা উপহার দেন।

সোনার নৌকা প্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশে মন্ত্রী বলেন, কাজী ইরাদত আলী আমাকে যে সোনার নৌকা উপহার দিয়েছে তা আমি সানন্দে গ্রহণ করলাম। তবে এই সোনার নৌকার সমমূল্যের অর্থ শিশুদের জন্য করা কোন চ্যারিটি ফান্ডে দান করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. খোদেজা নাছরিন আকতার হোসেন, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ প্রমুখ।
এরপর কালুখালী বঙ্গবন্ধু চত্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

(একে/এএস/জানুয়ারি ১৮, ২০২৪)