স্টাফ রিপোর্টার : শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ সিনেটরের দেওয়া চিঠি প্রত্যাহার চেয়ে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী। 

আজ বৃহস্পতিবার ইমেইল ও ডাকযোগে সিনেটর রিচার্ড ডারবিন বরাবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদকাউছার এবং এডভোকেট মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস খান স্বাক্ষরিত চিঠিটি পাঠিয়েছেন।

গত ২২ জানুয়ারি রিচার্ড ডারবিনসহ বারো জন সিনেটর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস কে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে। অবিলম্বে বিচার কার্যক্রমের মাধ্যমে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে হয়রানি বন্ধের তাগিদ দেয়া হয়েছে।

উক্ত চিঠির জবাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং পৃথক। নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোন বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ বা বিচারিক কার্যক্রমে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। এছাড়া চলমান বিচারিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিবৃতি বা চিঠি প্রদান ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। ডঃ মুহাম্মদ এর বিরুদ্ধে অমিত্রা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য শ্রম আইনের অধীনে মামলা দায়ের করেছে সেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই প্রধানমন্ত্রী। কাজেই ১২ জন সিনেটরের পাঠানো চিঠির মর্মার্থ অনুযায়ী তারা দুর্বল শ্রমিকদের বিপক্ষে এবং সবল মালিকদের পক্ষ নিয়েছেন যা আইএলও কনভেনশনের লঙ্ঘন।

আইনজীবীদের পাঠানো চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, একটি দেশের অভ্যন্তরীণ চলমান বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে এই ধরনের তাগিদ পত্র দেয়া শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের শামিল,অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং নিন্দনীয়।

কাজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া পত্রটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।

(এসটি/এসপি/জানুয়ারি ২৫, ২০২৪)