শাহ আলম শাহী, দিনাজপুর : 'তীব্র শৈত্য প্রবাহে হিমেল হাওয়া আর কনকনে হাঁড় কাঁপানো শীতে বিপর্যয় হয়ে পড়েছে দিনাজপুর। জেলার আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি)  সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  যা এ শীত মৌসুমে সর্বোনিন্ম তাপমাত্রা।জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

শীতের প্রকোপে কাহিল জনজীবন। যবুথবু অবস্থা প্রাণিকুলের। জরুরি কাজ ছাড়া লোকজন বের হচ্ছে না ঘরের বাইরে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী নিন্ম আয়ের মানুষ।

জ্বর, সর্দি, কাশি,ডায়রিয়া ও হাঁপানি জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ।

দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম বোরহান-উল- ইসলাম সিদ্দিকী হয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় শীতজনিত রোগ শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়াও এ সময়ে শীতজনীত রোগ শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ হয়ে ৩ জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জেলার সরকারি হাসপাতাল গুলোতে শ্বাসতন্ত্র সংক্রমণ হয়ে এক হাজার জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৭৭৯ জন ভর্তি হয়েছে।

এদিকে তীব্র শীতে নাকাল জনজীবনের পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি নিয়েও কিন্তু উদ্বিগ্ন কৃষকেরা। নিম্ন তাপমাত্রা ও কুয়াশাযুক্ত আবহাওয়ার কারণে বোরো ধান, আলু, ডাল ও শীতকালীন বেশ কিছু ফসল বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

কথায় বলে ‘মাঘের শীত বাঘের গায়’। ঠিক যেনো তাই, মাঘের শীতে বাঘ কাঁদছে। শীতে কাবু দিনাজপুর । জবুথুবু অবস্থা। তীব্র শৈত্য প্রবাহে ঠান্ডার প্রকোট যেন আরও বেড়েছে।শৈত্যপ্রবাহ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত। ঘর থেকে রাস্তায় পারতপক্ষে কেউ বের হচ্ছেন না। তবে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
শরীর উষ্ণ রাখতে অনেককে আগুন জ্বালিয়ে তা পোহাতে দেখা গেছে। অনেকে শীত থেকে রক্ষায় চটের বস্তা বা পুরাতন কাপড় জড়িয়ে দিয়েছেন তাদের গৃহপালিত পশুদের।

এদিকে শীত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে পুরাতন মোটা কাপড় জামা কাপড়ের দোকানে। ব্যস্ত সময় পার করছেন হাতমোজা বা পা মোজা বিক্রেতারাও।

(এসএএস/এএস/জানুয়ারি ২৮, ২০২৪)