ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : উত্তরের হিমেল বাতাস ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত ঈশ্বরদীর জনজীবন। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) এ উপজেলায় ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ মৌসুমে এটি ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক কর্মকর্তা নাজমুল হক রঞ্জন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

তিনি জানান, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। একদিনের ব্যবধানে প্রায় ২ ডিগ্রীর মতো নেমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ সপ্তাহে শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে।

সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১ পর্যন্ত ঈশ্বরদীর স্টেশন রোড, রেলওয়ে জংশন স্টেশন, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কনকনে হিমেল বাতাস ও তীব্র শীতে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। পথচারী, রিকশাচালক ও দুস্থদের খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েছে গরম কাপড়ের জন্য হকার মার্কেটগুলোতে রয়েছে উপচেপড়া ভিড়।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ভাসমান ছিন্নমূল মানুষদের শীতের তীব্রতায় অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।

রবিবার সকালে শহরের স্টেশন রোডের রিকশাচালক মজিদুল ইসলাম বলেন, কনকনে শীত আর হিমেল বাতাসে স্টেশনে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। সড়কে যাত্রী সমাগম অন্য দিনের তুলনায় কম। দিনমজুর হাসান আলী বলেন, অন্যান্য বছর এসময় বহু মানুষ কম্বল বিতরণ করে। এবার কেউ একটি কম্বলও দেয়নি না। শীতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কাজেও বের হতে পারছি না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, সরকারিভাবে যে কম্বল পাওয়া গেছে তা চাহিদার তুলনায় কম। মাত্র চার হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। শুরতেই এসব কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

(এসকেকে/এএস/জানুয়ারি ২৮, ২০২৪)