সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় ছিনতাই নাটক সাজিয়ে মাছ ব্যবসায়ীর ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এক পিকআপ চালকসহ দুই প্রতারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। 

গ্রেফতরকৃতরা হলেন, বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার বড়গাওলা এলাকার সৈয়দ বিশ্বাসের ছেলে সুজন বিশ্বাস (৩০) এবং গাওলা এলাকার রুবেল ইসলাম বরকতের ছেলে মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ ওরফে বাঁধন (১৮)। শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতারদের আদালতের পাঠালে বিচারক তাদের করাগারের প্রেরণের রির্দেশ দেন।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, রবিবার সকালে মোল্লাহাট উপজেলার নাশুখালী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আশিষ কুমার মন্ডল যশোরের এমএমসি মাছের কোম্পানিতে পিকআপে করে মাছ সরবরাহ করেন। মাছ সরবরাহ শেষে ফিরে আসার সময় পিকআপ চালক সুজন বিশ্বাস পূবালী ব্যাংকের ফকিরহাট থেকে এমএমসি কোম্পানির পাঠানো ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। পরে ফকিরহাটের ফলতিতা বাজারে পৌঁছালে আশিষ কুমার মন্ডলের ম্যানেজার রমেনকে নগদ ২ লাখ টাকা প্রদান করে অবশিষ্ট ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে পিকআপ চালিয়ে নাশুখালি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সুজন বিশ্বাস।

পরে একটি অপরিচিত মোবাইল নাম্বার ০১৭৮২-১৪৪০৯০ থেকে ব্যবসায়ী আশিষ কুমার মন্ডলকে জানায় পিকআপ চালক সুজন কেন্দুয়া জোড়া ব্রিজের কাছে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছে। তার কাছে থাকা অবশিষ্ট ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই হয়ে গেছে। আশিষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুজনকে উদ্ধার করেন। টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সুজনকেই সন্দেহ হয় ব্যবসায়ী আশিষের। পরে থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। পরে পুলিশ তদন্তে উঠে আসে ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে সুজন টাকাগুলো আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন। এর অংশ হিসেবে অপর প্রতারক মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ ওরফে বাঁধন ঢাকা থেকে মোল্লাহাট এসে টাকা নিয়ে আবার ঢাকায় চলে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে সুজনকে গ্রেফতার করা হলে সে বিষয়টি স্বীকার করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় ভোরে মোহাম্মাদুল্লাহ শেখ ওরফে বাঁধনকে ঢাকায় তার ভাড়াবাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। গ্রেফতারকৃত দুই প্রতারককে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতারদের আদালতের পাঠালে বিচারক তাদের করাগারের প্রেরণের রির্দেশ দেন।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৪)