আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : হাজার হাজার কৃষকের জন্য ইরি-বোরো ব্লকে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে আগৈলঝাড়ার পশ্চিম সীমান্ত ত্রিমুখি এলাকার সন্ধ্যা নদী থেকে বাকাল ইউনিয়নের কোদালধোয়া বাজার হয়ে বাকালহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার খালের কচুরীপানা পরিস্কার কাজ শুরু করে প্রসংশায় ভাসছেন ’১৫ আগষ্ট শহীদ হওয়া আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের নাতি আওয়ামী লীগ নেতা সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ। 

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা, কৃষক কুলের নয়নমনি, দাদা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াতের মতো কৃষকদের স্বার্থে দাদা আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মন্ত্রী পদর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক, স্থানীয় এমপি আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র পুত্র, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য মঙ্গলবার সকাল থেকে খালের কচুরিপানা পরিস্কার কাজের শুরু করেছেন।

এলাকার হাজার হাজার কৃষকের হাজার হাজার একর জমিতে ইরি-বোরো মৌসুমে সেচের জন্য সার্বক্ষনিক একমাত্র খালে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে কৃষকদের দীর্ঘ দিনের দাবির স্বপ্ন পুরণে আওয়ামী লীগ নেতা আশিক আবদুল্লাহ তার নিজস্ব অর্থায়নে ৬ কিলোমিটার খালের কচুরীপানা পরিস্কারের জন্য নিজে দাড়িয়ে থেকে প্রথম দিনে ৬০জন শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করেছেন।

এ সময় সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহর সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সংশ্লিষ্ঠ বাকাল ইউপি চেয়াম্যান বিপুল দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিমেষ চন্দ্র মন্ডল, বাকাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম পাইকসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা।

এলাকার কৃষক ও বাকাল ইউনিয়ন আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম পাইক বলেন- ত্রিমুখি থেকে পূর্ব দিকের খালে আগে সব সময় পানি চলাচল ছিল। এই খালে সারা বছর নৌকা চলাচল করতো। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে কচুরীপানা জন্মানোর কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়। এর ফলে ত্রিমুখি থেকে পূর্বদিকে কোদালধোয়, বাকাল, রাজিহার হয়ে গৌরনদীর পালরদী নদী পর্যন্ত খালে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে কচুরীপানা জন্মে খাল শুকিয়ে ভরাট হয়ে যায়। বর্ষা ও শুকনা মৌসুমের সবসময়ই খালে কচুরীপানায় ভরে থাকে।

শুকনা মৌসুমে খালগুলো কচুরীপানার কারণে শুকিয়ে থাকায় পানি প্রবাহ বন্ধ থাকে। এর কারণে ইরি-বোরো ব্লকে পানি সেচ দিতে না পারায় হাজার হাজার কৃষকের বুকে হাহাকার জন্ম নেয়। আশাতীত ফলন থেকে বঞ্চিত হয় কৃষক। পূর্নিমা আর অমাবশ্যার জোয়ারের উপর নির্ভর করে ব্লকের ম্যানেজারদের পাওয়ার পাম্প (মেশিন) চালাতে হতো। কোন কোন ব্লক ম্যানেজারেরা শ্রমিক দিয়ে খালের তলানীর অংশর কচুরীপানা পরিস্কার করে মাঝেমধ্যে সেচ দিলেও তাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যেত অনেকগুন।

সোমবার রাতে উপজেলার সেরাল গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কৃষকেরা তাদের জমিতে সেচ সমস্যার সমাধারে জন্য আওয়ামী লীগ নেতা সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ’র সু-দৃষ্টি কামনা করলে কৃষকের স্বার্থ চিন্ত করে তিনি মঙ্গলবার সকালে তার নিজস্ব অর্থায়নে শ্রমিক দিয়ে খালের কচুরীপানা পরিস্কার কাজের শুরু করেন। এই ৬ কিলোমিটার খালের কচুরীপানা পরিস্কার হলে সারাবছর খালে পানি প্রবাহ সচল থাকবে। ফলে কৃষক বাঁচবে, দেশ বাচবে। ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে খরচ বাঁচিয়ে হাহাকার থেকে স্থায়ী মুক্তি পাবে হাজারো কৃষক।

তিনি আরও বলেন- কৃষকেরা প্রজন্মের নেতা আশিক আবদুল্লাহর মাঝে তার দাদা কৃষক কুলের নয়নমনি শহীদ রব সেরনিয়াবাতের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পেয়েছেন।

খালের পানি প্রবাহ নিশ্চিত করায় এলাকার কৃষক থেকে সকল পর্যায়ের লোকজনের প্রসংশায় ভাসছেন সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪)