পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে অপহরণ মামলায় আদালতের মাধ্যমে মেয়েকে নিজ জিম্মায় নিয়ে শেকল দিয়ে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বাবা আনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি এলাকার।

জানা যায়, ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো পার্শ্ববর্তী ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে ফারুক আলমের সঙ্গে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ওই কিশোরির বাবা আনারুল ইসলাম গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ফারুকের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গত ৮ জানুয়ারি অপহরণের অভিযোগ তুলে ফারুকের বাবা আব্দুল জলিলসহ চার জনকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন আনারুল ইসলাম। দুই মামলারই ভিকটিম ওই কিশোরি।

অপহরণ মামলার একমাস পর ওই কিশোরি নিজেই আদালতে হাজির হওয়ায় তার বাবা আনারুল ইসলামের হেফাজতে দেন আদালত। এদিকে, আদালত থেকে মেয়েকে বাসায় নিয়ে তাকে শেকল দিয়ে বেঁধে মারধর করেন আনারুল। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ রাতেই এসে মেয়েকে শেকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। শেকলটি থানায় নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় জানান, ‘বিচারাধীন কোন মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে কথা বলার এক্তিয়ার থানা পুলিশের নেই।’

মেয়েটি জানায়, ‘আমার বাবা বাসায় নিয়ে আসার পর আমাকে হাত বেঁধে পুরো গ্রাম ঘুরিয়েছেন, আমি চরিত্রহীন বলে মানুষের কাছে জানিয়েছন। একজন বাবা কি ভাবে আমাকে সাথে নিয়ে এসব কথা বলতে পারে। গ্রাম ঘুরানো শেষে বাসায় এনে আমাকে শিকলে বেঁধে ইচ্ছামত মারধর করেছে। আপনারা আমাকে আমার বাবার হাত থেকে রক্ষা করেন। তা নাহলে আমি আত্মহত্যা করবো।’

এ বিষয়ে আনারুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে আর মারধর করবো না।

আসামী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘আদালত মেয়েকে বাবার জিম্মায় দিয়েছেন, বাড়িতে নিয়ে মেয়েকে মারধর করা হচ্ছে বলে জানার পর বিষয়টি আদালতেকে জানান হয়েছে, আদালতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

(আরএআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪)