স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোরে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন, মুক্তেশরী বাঁচাও আন্দোলন, চিত্রা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দু ১৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি)কালেক্টরেট চত্বরে এই মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি পাঠানো হয়েছে।

ঘন্টা ব্যাপি অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নেতারা নদীর অপব্যবহার, নদীতে অবৈধ ভেড়িবাঁধ, নদীর পাড়ে অবৈধ পাকা স্থাপনা, নদীর পানিতে বর্জ্য ফেলা, অপরিকল্পিত কালভার্ট ও সেতু নির্মাণের কঠোর সমালোচনা করেন। নদীর নাব্যতা ফিরে আনার ক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসিনতার কঠোর সমালোচনা করে নেতারা বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের দূর্নীতি, অপারকতা আঁড়াল করতে দৃশ্যমান উন্নয়নের নামে নদীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করছে। অপরিকল্পিত নদী খনন, নানা অনিয়ম দূর্নীতির কারণে কেশবপুর মনিরামপুরের কৃষকরা ধান চাষ করতে পারছে না। এছাড়া সরকারি দলের নেতা কর্মী ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কর্মচার্রীর সুনজরের অভাবে নদীকে কেন্দ্র করে নানা কারচুপির কথা তুলে ধরেন তারা।

যশোর ঐতিহ্য রক্ষা কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকনউদ্দৌলার সভাপতিত্বে নদী বাঁচাও আন্দোলনের নেতা জিল্লুর রহমান ভিটুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নদী বাঁচাও আন্দোলনের উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, যশোর এতিহ্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, ভৈরব নদ আন্দোলনের অন্যতম নেতা মিজানুর রহমান, অনিল বিশ্বাস, নাসির আহম্মেদ শেফাট, মোবাশ্বের হোসেন বাবু, আব্দুর রহিম, অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, হাসিনুর রহমান, যশোর মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, তসলিমুর রহমান প্রমুখ।

শেষে ১৬ দফা সম্বলিত লিখিত স্মারক লিপি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যশোরের নদ নদী বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতারা।

নদী বাঁচাও আন্দোলনের উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের অনিয়ম, দূর্নীতি মানুষের চোখের আঁড়াল করতে ভৈরবের পাড়ে পার্ক তৈরি করেছে। যে কারণে নদীদস্যুদের ধারণা নদীর পাড়ে অবৈধ পাকা স্থাপনা করা যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি এক সপ্তাহের ভিতরে ভৈরবের উপরে অপরিকল্পিত ব্রীজ নির্মাণ বন্ধ না করে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস ফেরাও করবে। এর পরও অনিয়ম বন্ধ না করলে আগামি এক মাসে রোজার পর কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

(এসএ/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪)