সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইটি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ২ গৃহবধূ ৬ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে শহরের স্বদেশ হাসপাতাল (প্রা.) লি. এ সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সোমা আক্তার নামে এক গৃহবধূ তিন শিশুর জন্ম দিয়েছেন বলে ওই হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ মোছা. মোমেনা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি তানজিনা বেগম নামে এক গৃহবধূ তিন সন্তান জন্ম দিয়েছেন বলেও তিনি জানান। আপারেশনের পর ২ গৃহবধূ ও তাদের সন্তানরা ভাল রয়েছেন।

এদিকে একই সাথে তিনটি বাচ্চা জন্ম দেয়ার ঘটনায় হাসপাতালে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। বর্তমানে তিন বাচ্চাসহ গৃহবধূ সোমা আক্তার হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে রয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রসব বেদনা শুরু হলে নরসিংদী জেলার রামনগর গ্রামের সৌদী প্রবাসী রবিন খানের স্ত্রী গৃহবধূ সোমা আক্তার শুক্রবার সকালে হাসপাতালে এসে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুত আল্ট্রাসানোগ্রাম করেন। রাতেই গৃহবধূকে অপারেশন করেন ডা. হরিপদ সাহা, ডা. রাজিব ও ওটি ইনচার্জ মোমেনা বেগম। অপারেশন সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়। সেই সাথে সুস্থ্য শরীরে এক এক করে তিনটি ফুটফুটে নবজাতক প্রসব করেন গৃহবধূ সোমা আক্তার।

এ দিকে ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ভর্তি হোন শহরের কালীপুর এলাকার ইটালী প্রবাসী সজল মিয়ার স্ত্রী তানজিনা বেগম। তিনি ওই দিন হাসপাতালে ভর্তি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুত আল্ট্রাসানোগ্রাম করেন। রাতেই গৃহবধূকে অপারেশন করেন ডা. মিশুতি রাণী ঘোষ, ডা. মুস্তাফিজুর রহমান রাজু ও ওটি ইনচার্জ মোমেনা বেগম। এসময় তিনি তিনজন কন্যা সন্তান জন্ম দেন। তার সংসারে আগেও দুটি কন্যা সন্তান রয়েছেন।

এ বিষয়ে গৃহবধু সোমা আক্তারের ছোট ভাই সহিদ মিয়া বলেন, আমার বোনের আগেই দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের সংসারে একজন ছেলের দরকার ছিল। আজ মহান আল্লাহ ২ জন ছেলে ও ১ জন কন্যা সন্তান দিয়েছেন। আমরা সবাই অনেক খুশি। তাদের বাবা সৌদী প্রবাসী। প্রবাস থেকে সে ভিডিও কলে তাদের দেখছে এবং সেও অনেক খুশি হয়েছেন।

স্বদেশ হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ মোছা. মোমেনা বেগম বলেন, আজকের অপারেশনে নবজাতকের মধ্যে দু’টি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। তাদের নাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। বর্তমানে বাচ্চাটির মা শারিরিকভাবে অসুস্থ। তবে আশঙ্কামুক্ত। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এ হাসপাতালে তিনজন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। তারা সবাই ভাল আছে।

এ বিষয়ে হাসপতালের পরিচালক মিজানুর রহমান সাদ্দাম বলেন, গৃহবধূ সোমা আক্তারের অপারেশন আমাদের হাসপাতালে করতে চাইনি। তাকে ডাক্তার ঢাকায় রেফার্ড করলেও তিনি যেতে চাইনি। এই হাসপাতালে সোমা আক্তার নিয়মিত চিকিৎসা নিয়েছে। তাই তাদের বিশ্বাস ছিল এ হাসপাতালেই ভাল অপারেশন হবে। এ ছাড়াও এক সপ্তাহ আগে আমাদের হাসপাতালে ১ জন গৃহবধূ তিন সন্তান জন্ম দিয়েছিল। তাই তাদের ভরসা ছিল আমাদের প্রতি। ডাক্তার ছাড়াও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়মিত রোগীদের শারীরিক খোঁজ খবর নেন। এটি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।

(এসএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪)