সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে চাঞ্চল্যকর সবজি ব্যবসায়ী ওয়াসিম হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি মো. রাজিব খান (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প। 

আজ ৯ মার্চ বেলা সাড়ে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফাহিম ফয়সাল।

সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফাহিম ফয়সাল জানান, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর জেলা পিরিজপুর বাজারে কাঁচা সবজির ব্যবসা করতেন নিহত ওয়াসিম মিয়া। সে ওই এলাকার ইসহাক মিয়ার ছেলে। নিহত ওয়াসিম ব্যবসার কাজে প্রায়ই দুই এক দিন বাড়ির বাইরে থাকতেন। ২৫ জানুয়ারি বিকালে তার মোবাইল ফোনে কল আসলে সে বিকাল আনুমানিক সোয়া চারটায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে আর ঘরে ফেরেনি। চারদিন পর ২৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টায় পার্শ্ববর্তী ধুপি পাথর পুরান খাল গ্রামের মধ্যবর্তী দুলদুলিয়া খালের পানিতে মৃত অবস্থায় ওয়াসিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার মরদেহ বাজিতপুর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় নিহত ওয়াসিমের স্ত্রী জুবেদা আক্তার (৩০) বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা হওয়ার পর সন্দেহভাজন অনেকেই এলাকা ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়ায়। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন একজন মূল আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে র‌্যাব ১৪ সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প। এ ঘটনায় ২৪ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার আমির উদ্দিনের ছেলে মো. আফজাল খান (৩৪)কে আটক করে র‌্যাব। পরে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার তদন্তকারী ইউনিট পিবিআই এর নিকট হস্তান্তর করে।

৮ মার্চ শুক্রবার গাজিপুর থেকে র‌্যাব-১, সিপিএসসি এবং র‌্যাব ১৪ সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প এর যৌথ অভিযানে অজ্ঞাত মামলার প্রধান আসামি রাজিব খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বহুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেরাচ্ছিল। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা নজরদারীর ভিত্তিতে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের বিরুদ্ধেও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলার তদন্তকারী ইউনিট পিবিআই এর নিকট আসামিকে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফাহিম ফয়সাল সাংবাদিকদের জানান, আটক আসামি হত্যাকা-ে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তারা এক সাথে চলাফেরা করতো। সবাই মাদকাসক্ত ছিল।

(এসএস/এসপি/মার্চ ০৯, ২০২৪)