শেখ ইমন, শৈলকুপা : পিচ ঢালাই উঠে বেরিয়ে গেছে খোয়া। সড়ক জুড়ে ছোট-বড় হাজারো গর্ত। গাড়ি চলছে ঝাঁকুনি খেতে খেতে। ভ্যানে চড়ে যাওয়ার সময় ঝাঁকুনি খেয়ে এক যাত্রী বললেন, ‘ধুর, এ রাস্তায় গাড়িতে চড়ার থেকে হেঁটে যাওয়া ভালো।’ ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে যাত্রীরা যেমন নাকাল হচ্ছেন, তেমনি প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা-গাড়াগঞ্জ সড়কের ৬ কিলোমিটার জুড়ে সড়কের এমন খারাপ অবস্থা। চলাচলের উপযোগী নেই। কয়েক বছর ধরে বেহাল সড়কটি মাঝেমধ্যে সংস্কারের নামে জোড়াতালি দেওয়া হচ্ছে। দায়সারা এই কাজের কারণে কয়েক দিনের মধ্যে সড়কটি আবার আগের মতো খানাখন্দে ভরে যাচ্ছে।

সড়কে চলাচলকারীরা বলছেন, ‘রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ, যেকোনো অন্তস্বত্তা নারী ওই রাস্তায় চলাচল করলে পথেই ‘ডেলিভারি’ (সন্তান প্রসব) হয়ে যাবে।’

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার প্রবেশদ্বার এই সড়ক। প্রতিদিন এ সড়কে বাস,পণ্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র,মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। ফলে দিনে-রাতে এ সড়কে হাজার হাজার মানুষের চলাচল।

গত সোমবার সকালেও দেখা মিলেছে খেয়া আর পিচ দিয়ে জোড়াতালির দৃশ্য। এতে কয়েকদিন কোনমতে চলাচল করা গেলেও কিছুদিনের মধ্যেই তা আবার আগের জায়গায় ফিরে যাচ্ছে। এর কোন স্থায়ী সমাধান না করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সড়কে চলাচলকারীদের মাঝে।

অটোচালক রুবেল বলেন, ‘এই সড়কে চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়। ভাঙ্গা রাস্তার কারণে গাড়ি প্রায়ই বিকল হয়ে যায়। বেশির ভাগ রাস্তা ভেঙে পিচ উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ভ্যানচালক রহিম মন্ডল বলেন,‘কষ্টের আরেক নাম গাড়াগঞ্জ-শৈলকুপা সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি এমন ভাঙাচোরা। প্রতিদিন যে কী কষ্ট হয়, বোঝাতে পারব না।’

রেজাউল ইসলাম রাজু নামে এক পথচারী বলেন,‘কিছুদিন পরপরই দেখা যায় খানাখন্দে পিচ আর খোয়া দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। তাতে কোন স্থানী সমাধান হয় না। তাই এ রাস্তাটি অতিদ্রুত স্থায়ী মেরামত করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ বলেন ,‘বর্তমানে ছোট-বড় খানাখন্দ মেরামতের কাজ চলছে। শিঘ্রই টেন্ডার করে পূর্ণাঙ্গ কাজ করা হবে।’

(এসই/এএস/মার্চ ১৪, ২০২৪)