স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোচিং ব্যবসা রমরমা ভাবে চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেনী কক্ষে ক্লাসের পরিবর্তে চলছে কোচিং ব্যবসা। ফলে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা হয়ে পড়েছে কোচিং নির্ভর শিক্ষার উপর নির্ভরশীল। জেলায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেনী কক্ষে ক্লাসের পরিবর্তে শিক্ষকরা কোচিং করাতে বেশী আগ্রহী হয়ে পড়েছে। 

সম্প্রতি জেলার বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে শ্রেনী কক্ষে পাঠাদানের পরিবর্তে শিক্ষকেরা কোচিং করাচ্ছে। আবার ক্লাসের সময় প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে বিভিন্ন নামে কোচিং সেন্টার খুলে কোচিং করাচ্ছে অধিকাংশ শিক্ষক। যা সরকারি নিয়ম নীতির পরিপন্থি কাজ।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা জানান, প্রাইভেট বা কোচিং করলে আভ্যন্তরিন পরীক্ষায় ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পাস ভাল নাম্বার দেওয়া হয়। স্কুলের স্যারের কাছে প্রাইভেট বা কোচিং না করলে পরীক্ষায় ফেল ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নাম্বার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেন তারা।

ঝিনাইদহ শহরের মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফজর আলী স্কুল এন্ড কলেজ, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাঞ্চন নগর স্কুল এন্ড কলেজ, নিউ একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি স্কুলে সকাল ৭টা ও দুপুর আড়াইটায় দুই শিফটে শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো হয় বলে অভিভাবক সুত্রে জানা গেছে।

এ ছাড়া জমিলা খাতুন গালর্স স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক মিলে আরাপপুর এলাকায় গড়ে তুলেছে টাচ্ স্টোন একাডেমী নামের একটি কোচিং সেন্টার। ওই কোচিং সেন্টারে জমিলা খাতুন স্কুলের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়মিত কোচিং করে।

বিষয়টি নিয়ে জমিলা খাতুন গালর্স স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা সুলতানা জানান, সরকারি নীতিমালায় অনেক কিছুই তো থাকে। সেটা মেনে চললে পথ চলায় কঠিন। তাই জেনে বুঝেও অনেক কিছুই ছাড় দিয়ে চলতে হয়। আমার উর্ধ্বতন কর্তাদের পরামর্শ ছাড়া এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারবো।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দায়ী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(একে/এসপি/মার্চ ১৪, ২০২৪)