স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : সোসিও ইকোনোমিক হেলথ এডুকেশন অর্গানাইজেশন (সিও) এনজিওর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও অনশন কর্মসুচি পালন করেছে নির্যাতিত কর্মীরা। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সিও অফিসে আটকে নির্যাতন ও মিথ্যা চেকের মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।

মানববন্ধন কর্মসুচিতে মেহেরপুরের আমদহ গ্রামের আমিরুল ইসলাম, খুলনার মাসুদা পারভিন, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার লক্ষিনগর গ্রামের আজিজুল আলম, শৈলকূপার সাবিনা ইয়াসমিন ও গাইবান্ধার সুই গ্রামের এবিএম মাহবুবুর রশিদসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন ও অনশন কর্মসুচি শেষে তারা ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

গাইবান্ধার সুই গ্রামের এবিএম মাহবুবুর রশিদ জানান, তিনি সিও এনজিওতে চাকরি করেছেন সততার সঙ্গে। তিনি কোন আর্থিক কেলেংকারীর সঙ্গে জড়িত নয়। সিও সংস্থার হিসাব নিকাশ বা খাতা কলমে তিনি দায়ী নয়। অথচ চাকরি গ্রহণের সময় তাদের কাছে জমা রাখা খোলা চেকে ২৯ লাখ টাকা বসিয়ে মিথ্যা মামলা করেছেন। এই মামলা চালাতে গিয়ে তিনি দেউলিয়া হয়ে গেছেন। তার সংসার ভেঙ্গে গেছে। মিথ্যা মামলায় একাধিকবার জেল খেটেছেন। তিনি বলেন, প্রশাসনিক প্রতিকার না পেলে আমরা সবাই সেচ্ছায় আত্মহুতি কর্মসুচি দিতে বাধ্য হবো।

শৈলকূপার চণ্ডিপুর গ্রামের সাবিনা ইয়াসমিন জানান, তিনি সিও এনজিওতে ১২ বছর হিসাব রক্ষক পদে চাকরী করেছেন। তিনি চাকরী ছেড়ে দিলে তার নামেও ১৯ লাখ টাকার চেকের মামলা করেছেন। তিনি বলেন একই অংকের টাকা আত্মসাতের দায়ের তার স্বামী ফারুক ও সিও এনজিওর আরেক কর্মী তানিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

শুধু তিনিই নয়, যশোরের রবিউল, কুষ্টিয়ার শওকত আলী, একই জেলার গৌরাঙ্গ কুমার, কালীগঞ্জের আশিক, পাবনার সুবর্ণা খাতুন, সোহেল রানা, সাইফুল ইসলাম, শৈলকূাপার মাহমুদ ও মহেশপুরের রুপা খাতুনসহ সহস্রাধিক ব্যক্তির নামে সিও এনজিও মিথ্যা চেকের মামলা করে হয়রানী করছেন।

এ বিষয়ে সিও এনজিওর নির্বাহী পরিচালক সামছুল আলম জানান, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। আমি কারো কাছ থেকে খোলা চেক গ্রহণ করিনা। তিনি বলেন, যারা কর্মসূচি পালন করছেন তারা সবাই অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামী।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিষয়টি সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো হবে।

(একে/এসপি/মার্চ ২১, ২০২৪)