উজ্জ্বল হোসাইন, চাঁদপুর : বিয়ে হয়েছে মাত্র ৭ দিন। স্বামীর বাড়ি থেকে নববধু আকলিমা আক্তার (১৮) বাবার বাড়িতে ফিরতি এসেছেন স্বামীকে নিয়ে। এসে বেঁকে বসেছেন এ স্বামীর বাড়িতে আর যাবে না। স্বামী বেচারা অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। শেষ ভরসা মুরুব্বী শ্বাশুড়ীর কাছে ও ব্যর্থ হয়ে শ্বশুর বাড়িতেই বিষপানে আত্মহত্যা করেন মিলন মুন্সী (২৩) নামে এক যুবক।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের ৫ সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর প্রধানীয়া বাড়িতে। নিহত মিলন মুন্সী একই উপজেলার ৪ নম্বর কালোচোঁ ইউনিয়নের উড়পুর মুন্সীর বাড়ির বাদল মুন্সীর ছেলে।

মিলন মুন্সীর বাবা বাদল মুন্সীর জানান, চলিত মাসে ৫ তারিখে পারিবারিকভাবে ছেলের সাথে আকলিমা আক্তারের বিযে দেই। বিয়ের আড়াই দিন পর বউ বাবার বাড়িতে যায। গিয়ে ফিরে আসতে আর রাজি হচ্ছিলেন না বউ।

বাদল মুন্সী আরো জানান, মিলন স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়িতে গেলে তার তার শাশুড়ি শাহানারা মেয়েকে দেবে না বলে জানায়। এ সময় মিলন পকেট থেকে বিষের বোতল বের করে খেয়ে ফেলেন। পরে তাকে হাজীগঞ্জের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত জন্য কুমিল্লায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

গৃহবধূ আকলিমা আক্তারের বাবা আব্দুর রহিম বলেন, মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পর বুঝতে পারে ছেলের কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। যার কারণে এর আগেও দুই বার তারা আকলিমাকে নিতে আসলে দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মূলত এই ছেলেকে আগেও একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে তার বাবাকেও মারধর করত। সে নেশাগ্রস্ত থাকে। যার কারণে উত্তেজিত থাকে এবং মানসিক সমস্যাও রয়েছে। এই ঘটনায় মিলন মুন্সীর বাবা বাদল মুন্সী থানায় একটি মামলা করেছেন।’

(ইউএইচ/এসপি/মার্চ ২২, ২০২৪)