মোঃ শাজনুস শরীফ, বরগুনা : বরগুনার আলোচিত তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলার ২০দিন পরও পাঁচ আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। এদের মধ্যে সগির হোসেন টিটু নামের এক আসামী নিয়মিত ফেসবুকে সক্রিয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তিনি মাসউদ হত্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তি ও উষ্কানিমূলক মন্তব্য ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের মেয়ে সাদিয়া তালুকদার তন্নি।

এছাড়াও মামলার বাদি ও তালুকদার মাসউদের স্ত্রী সাজেদার অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে হত্যাকারীদের পক্ষ নিয়ে একটি চক্র নানা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে তদন্ত কার্যক্রমকে প্রভাবিত করছেন।

সাদিয়া তালুকদার তন্নি অভিযোগ করে বলেন, মামলার ২২দিনেও পাঁচ আসামী এখনো গ্রেফতার হয়নি। উল্টো অন্যতম আসামী সগির হোসেন টিটু ফেসবুকে সক্রিয় থেকে আমার বাবার হত্যাকান্ড নিয়ে একের পর এক বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দিচ্ছে। এছাড়া আমার পোস্টে অশলিন মন্তব্য করছে।

সাদিয়া আরো বলেন, আসামী ও তাদের স্বজনরা একাধিক ফেসবুক একাউন্ট দিয়ে আমার ইনবক্সে গালিগালাজ করছে। আমি বাবাকে হারিয়ে শোকে দিশেহারা। এ অবস্থায় আসামীদের আত্মীয়- স্বজনসহ সহযোগীরা আমার বাবাকে নিয়ে যেমন ফেসবুকে মিথ্যাচার চালাচ্ছে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছি। এতে আমি ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কিত। ’

নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদি সাজেদা বলেন, মামলার পর একজন আসামীও গ্রেফতার হয়নি। বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কাদের, সদস্য মইনুল আবেদীন খান সুমন, জাহাঙ্গীর কবির মৃধাসহ একাধিক সদস্য হত্যাকারীদের বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছে এবং প্রত্যক্ষ সহযোগীতা করছে। যারা আদালতে আত্মসমর্পন করে জেল হাজতে আছে তাদের আত্মীয়-স্বজন নিয়ম ভেঙে দেখা প্রায় প্রতিদিনই দেখা করছে। এছাড়াও এরা প্রেসক্লাবের পরিচয়ে থানায় গিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি আইনগত সহায়তা চাই। আসামীরা প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন প্রভাবশালী লোকজনের সহায়তায় মামলাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করা চেষ্টা করছে। আমি আমার স্বামী হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে যেমন শঙ্কায় ভুগছি তেমনি ভীত-সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েছি। ’

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, মামলায় পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছি। আশা করি খুব দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হব।

বরগুনা কারাগারের জেলার মনির হোসেন চৌধুরি বলেন- আমরা সাধারণত নিয়মানুসারে কয়েদিদের ক্ষেত্রে প্রতি ১৫দিন পরপর আর সাধারণ হাজতিদের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ পর দেখা করার সুযোগ দেই। এই হাজতিদের ক্ষেত্রেও আমরা নিয়মের বাইরে কোনো বিশেষ সুবিধা দিচ্ছিনা। তারপরও তাদের ব্যপারে আমি খোঁজ নেব।

(এসএস/এএস/মার্চ ২৫, ২০২৪)