স্পোর্টস ডেস্ক : সাফ ফুটবলে আগের দুই সাক্ষাতে হার। প্রথমটি ২০১০ সালে, ৬-০ গোলে। দ্বিতীয়টি ২০১২ সালে, ৩-০ গোলে। এবার কী হবে? হার নিশ্চিত, এটাই ছিল অনুমেয়। তবে চেষ্টা ছিল যত কম গোল হজম করা যায়। কিন্তু না, এ-গ্রুপের ম্যাচে বড় ব্যবধানেই ভারতের সঙ্গে হেরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পাকিস্তানে অনুষ্ঠানরত তৃতীয় মহিলা সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে ৫-১ গোলে হেরেছে সুইনু শিবির। তবে এবার সান্ত্বনা একটাই, সাফ ফুটবলে প্রথমবারের মতো ভারতের বিরুদ্ধে গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

ভারতের হয়ে জোড়া গোল করেছেন বালা দেবী। একটি করে গোল করেছেন উমাপতি দেবী, মান্দারানী দেবী ও ইন্দুমতি। ৮৪ মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেছেন দলের সহঅধিনায়ক সাবিনা খাতুন। এমন হারে বাজে খেলাই দায়ী করেছেন বাংলাদেশের জাপানি কোচ সুকিতাতে নরিও। তার মতে, ‘দ্বিতীয়ার্ধে দল বাজে ফুটবল খেলেছে। সে কারণেই এমন হার’।
গ্রুপের অপর ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে মালদ্বীপ। দুই ম্যাচে পূর্ণ ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত। সেখানে দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। তিন পয়েন্ট মালদ্বীপেরও। তবে গোল ব্যবধানে অনেক পিছিয়ে থাকায় তাদের অবস্থান তৃতীয়। আগামী ১৭ নভেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে কোনোমতে ড্র করলেই চার বছর পর সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। ২০১০ সালে প্রথম মহিলা সাফ ফুটবলে সেমিতে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় আসরে গ্রুপপর্বেই বাদ পড়ে তারা।
আজ বি-গ্রুপের ম্যাচে পরস্পরের মোকাবিলা করবে নেপাল-শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান-ভুটান। যদিও এই ম্যাচগুলো নিয়মরক্ষার। কারণ টানা দুই জয়ে সেমিফাইনালে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছে নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে সেমিতে গেলে প্রতিপক্ষ হিসাবে পাবে গত দুই আসরের রানার্সআপ নেপালকে। প্রথম আসরের সেমিতে এই নেপালের সঙ্গে হেরেই ফাইনাল স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছিল বাংলাদেশ।

(ওএস/এইচআর/নভেম্বর ১৬, ২০১৪)