সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুইদল জেলের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। সুন্দরবনের কটকার উপকূলের সাগরে ফুসফুসের চর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গত বুধবার রাতে আহত ৫ দেলোয়ার হোসেন, কাওছার, আসাদ, নাজমুল ও মাসুমকে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত প্রতিপক্ষের জেলে বেল্লাল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি ৫ জেলের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে।

শরনখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেলেদের মহাজন উত্তর রাজাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, তার জেলেরা বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরের ফুসফুসের চর এলাকায় জাল ফেলে মাছ ধরছিল। এসময় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মাস্লুইস গ্রামের হালিম খানের ছেলে রফিকুলের নের্তৃত্বে ২০জন জেলেসহ তিনটি ট্রলারে করে এসে আমার জেলেদের উপর হামলা চালিয়ে মাছ ধরতে বাঁধা দেয়। বাঁধা উপেক্ষা করে জেলেরা মাছ ধরতে থাকলে তারা মারপিট শুরু করে। এতে আমার পাঁচ জেলে আহত হয়। মারপিটের খবর পেয়ে সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বনরক্ষিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলিছুড়ে হামলাকারি জেলেরা পালিয়ে যায়। আহত ৫ জেলেকে বুধবার রাতে শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপরে পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মাস্লুইস এলাকার জেলেদের মহাজন রফিকুল দাবী করেন, সুজন ও রহিম মাঝির জেলেরা ৪টি ট্রলারে করে এসে তার জেলেদের উপর হামলা করে তার একটি ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে । প্রতিপক্ষের হামরায় বেল্লাল নামের তার এক জেলের হাত ভেঙ্গে গেছে। আহত বেল্লাল পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাছধরা নিয়ে সুন্দরবনের বাইরে বঙ্গোপসাগরে দুই দল জেলেদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা শুনে বনরক্ষিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে জেলেদের ছত্রভঙ্গ করে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।

(এস/এসপি/মার্চ ২৮, ২০২৪)