স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। পাঠক তো ঘোষক না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাঠক তো ঘোষক না। তার চেয়ে বড় কথা ঘোষণার অধিকার কার ছিল? ৭০ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু জনগণের মেনডেড পেয়েছিলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব অপকর্ম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স। সেই নীতিতে আমরা এগিয়ে চলছি। বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা ছাড় দেইনি। আজকে আমি রাজনীতি করি, কিন্তু বুয়েটে যেতে পারবো না? এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নীতি?

ওবায়দুল কাদের বলেন, মঈন খানের মতো নেতারা আজকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। বিএনপির নেতাদের কেউ বলে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, আবার কেউ বলে ভারতের পণ্য বর্জন। বিএনপির সব ইস্যু নির্বাচনে মার খেয়েছে। এখন তাদের নতুন ইস্যু ভারত বিরোধী। বিএনপি মিথ্যাচার করছে। তারা যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায় তখন বাংলাদেশের রির্জাভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। এখন তারা আমাদের রিজার্ভ নিয়ে কটাখ্য করে। এখন আমাদের রির্জাভ ২১ বিলিয়ন ডলারের উপরে।

বুয়েটে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বুয়েটে আবরার হত্যায় কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে নেতাকর্মীদের দণ্ড হয়েছে, কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। বুয়েটের ঘটনাও তদন্ত চলছে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবে সরকার।

(ওএস/এএস/মার্চ ৩১, ২০২৪)