শেখ লিটন, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারী ধরনের তাপদাহ। কয়েকদিন ধরে এমন রোদের তীব্র তাপমাত্রা আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। এই তীব্র তাপমাত্রায় বাইরে না বেড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামি দিন থেকে তাপমাত্রা ও গরমের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল সাতটার পর থেকে সূর্যের দেখা যাচ্ছে। দিন যত গড়াছে ততই রোদের তীব্রতা আরও বাড়ছে। এমন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া এই প্রখোর রোদে ঘরের বাইরে বেড়াছে না। এই তীব্র রোদ আর প্রচন্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা ভ্যান চালক ও রিকশা চালকরা। তীব্র রোদের তাপমাত্রা উপেক্ষা করে খাদ্যের তাগিদে কাজে ছুটতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। আর সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে রোজাদার ব্যক্তিরা। একদিকে গরম আর অপরদিকে তীব্র রোদের তাপমাত্রা। এমন অবস্থায় বাইরে না বেড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। সামনে দিন থেকে আরও তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে মনে করছে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এই প্রচন্ড রোদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার চত্বরের সব শ্রেণির পেশার মানুষেরা খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় বিক্রয় করেছে। আবার তাপমাত্রা উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক পুলিশ তাদের দ্বায়িতে ব্যস্ত সময় পার করা দেখা গেছে। আর পথচারিরা ঘরের বাইরে বেড়ালে ছাতা মাথা দিয়ে তাপমাত্রা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকাল তিনটায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বাতাসের আদ্রতা ছিল ২১ শতাংশ। আগামিকাল থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। গরমের শুরুতে এই প্রথম এই তীব্র তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ফলে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট পাচ্ছে।

কথা হয় চুয়াডাঙ্গা এক এনজিও কর্মী কানিজ সুলতানা বলেন, ক্রমাগত গরম আর তীব্র রোদের তাপমাত্রায় বাইরে বেড়ানো সম্ভব হচ্ছেনা। এরই মধ্যে আবার রোজার মাস চলছে। শহরে মানুষের চলাচল কম হচ্ছে। এই রোদের মধ্যে কেউ বাইরে বেড়াচ্ছে না। আর ভ্যাপসা গরম। সব মিলিয়ে এই রোদ আর গরমের মধ্যে নাজেহাল অবস্থা।

পথচারী আমিরুল ইসলাম বলেন, সকাল সাতটার পর থেকে অনেক রোদের তাপমাত্রা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা আরও বাড়ছে। এই রোদ গরমে অনেক কষ্ট পাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ ভ্যান ও রিকশা চালকরা। আর রোজাদারদের তো আরও কষ্ট। বাইরের রোদে মনে হচ্ছে আগুন পড়ছে। প্রচন্ড রোদের তাপমাত্রা। আর পাচ্ছি না। এই রোদের তাপমাত্রায় মারা যাওয়ার মতো অবস্থা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারী তাপদাহ। বাতাসের আদ্রতা কম থাকার কারণে শরীরে ঘাম ঝড়ছে না। সূর্যের তীব্রতা অনেক বেশি তাই বাইরে প্রয়োজন ছাড়া না বেড়ানো উচিত। আর সামনে দিন থেকে তাপ আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। পহেলা এপ্রিলে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আগামিকাল থেকে আরও বাড়বে।

(এসএল/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০২৪)