আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে পরিবারের সকলকে নিয়ে একসাথে আনন্দ করা। আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাত করে ভাব বিনিময় করা। কিন্তু ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে হয়ে আসছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলায়  অবস্থিত বরিশাল বিভাগীয় বেবী হোমে আশ্রিত পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন অনাথ শিশুরা। তবে, এবার ওই সকল অনাথ শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে, তাদের ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য তাদের পাশে দাড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন।

আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন বিভাগীয় বেবী হোমে গিয়ে সেখানে বসবাসরত শিশুদের সাথে কিছু সময় কাটিয়ে ঈদের উপহার হিসেবে তাদের নতুন পোষাক প্রদান করেন।

এসময় তিনি ঈদের দিনে অনাথ শিশুদের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফল, দুধ, চিনি, সেমাই, পোলাও চাল, নুডুলসসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। এ সময় বেবী হোমের উপ-তত্বাবধায়ক ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুশান্ত বালা, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. মোশারেফ হোসেন, গৈলা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র মতে, বেবী হোমে আশ্রিত শিশুদের অপনজন বলতে কেউ নেই। অধিকাংশ অনাথ শিশুদের জন্ম হয়েছে কোন অন্ধকার গলিতে, কারো ফুটপাতে, আবার কারো পরিচয় না থাকায় পথশিশু হিসেবে এখানে তাদের ঠাঁই মিলেছে এখানে। সমাজের কাছে তারা পরিত্যাক্ত শিশু। বেবী হোমে আশ্রিত অনাথ শিশুদের কোনদিনই তাদের বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, তাদের অনেকের বাবা-মা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। আবার অনেকের বাবা-মায়ের পরিচয়ও জানা নেই। তাই বাবা-মায়ের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার তাদের কোন সুযোগও নেই। তার পরেও পিতৃ-মাতৃ স্নেহে লালন-পালন করা বেবী হোমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনাথ শিশুদের ঈদের আনন্দ দেয়ার জন্য প্রতিবছরই সাধ্যমতো চেষ্টা করেন।

ছোটমনি নিবাসের তত্ত্বাবধায়ক উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুশান্ত বালা জানান, বর্তমানে ছোট মনি নিবাসে বিভিন্ন বয়সের ১৫ জন অনাথ শিশু রয়েছে। ঈদের আগে এসব শিশুদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত নতুন জামা কাপড় দেয়া হয়। ঈদের দিন বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাসহ আনন্দ বিনোদনের জন্য দিনভর নানা কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। বিভিন্নভাবে চেস্টার মধ্য দিয়ে এই সকল শিশুদের সকল রকমের বিনোদন দেয়া হয় ঈদের দিনে। স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ স্যারসহ ব্যক্তিগত পর্যায়েও অনেকে এসকল শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে থাকেন।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ০৩, ২০২৪)