মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে নবজাতকে দেখতে আসা অতিথিকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে হামলাকারিদের হাত থেকে স্বজনদের বাঁচাতে গুরুতর আহত হন সুমি আক্তারসহ ৫ জন।

৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) এমন ন্যাক্ক্যারজনক ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবিলী ৩ নং ওয়ার্ড তনুর দোকানের পশ্চিমে আবুল খায়েরের বাড়ীতে।

ভুক্তভোগী সুমি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, "আমার বিয়ে হয়েছে আমারদের প্রতিবেশী উপজেলা কবিরহাটের উত্তর আলীপুর ভূঁইয়ার হাট বাজার, আমি সন্তান সম্ভবা হলে কিছুদিন আগে ডেলিভারী করার জন্য বাবার বাড়ি সুবর্নচর আসি, গত পরশু বুধবার রাতে আমার একটি কণ্যা সন্তান জন্ম হয়। খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আমার স্বামীর বড় ভাই, ছোট ভাই ননদ, জা সহ আত্বিয়রা আমার সদ্য ভৃমিষ্ট সন্তানকে দেখতে আসে। সন্ধ্যায় ইফতার করার পর আমার ভাসুরগন পাশের দোকানে চা খেতে যাওয়ার পথে পশ্চিম চরজুবিলী গ্রামের সামছল হক তনুর ছেলে নোমান সিদ্দিক, রুহুল আমিনের পুত্র মোস্তফা ফয়সাল (১৭) মৃত আব্দুল কাদের নেতার পুত্র সজিব (২১)নুরুল হক লিটনের পুত্র রাসেল (২০), জামাল উদ্দিনের মাঈন উদ্দিনসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনের একটি কিশোর গ্যাং তাদেরকে রাস্তার চাঁদাবাজী করতে পকেট থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণ নিয়ে যায় বাঁধা দিলে আব্দুল বারীর পুত্র আব্দুল আজিজ ওরপে আজিজ স্বর্ণকার, আব্দুল আজিম স্বর্ণকার, আব্দুল আরমানের পুত্র সাকিব (১৭) কে মারধর করে তাদের শৌরচিৎকারে নবজাতকের মা সুমি এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে তাকেও বাঁচাতে এলে তার ঝা মুন্নি আক্তার, সাবিহা খাতুনকে মারধর করেন প্রতিবেশী বখাটে সজিব ও নোমানসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

বর্তমানে তারা অনেকেই সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সস ভর্ভি নিয়ে চিকিৎসাধিন আছেন।

অভিযুক্ত তনুর ছেলে নোমান বলেন, বলেন এলাকায় অপরিচিত লোক দেখলে মারধর করে থানায় দিয়ে দিতে বলেছে, আর যাদেরকে মারধর করেছে তাদের মধ্যে একটি ছেলে আমাদের পাশের বাড়ীর এক মেয়ের সাথে প্রেম করে, মেয়ের অভিভাকরা আমাদের জানালে ছোট ভাইয়েরা তাদেরকে মারধর করে, নারীদের মারধরের বিষয়ে সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেনি নোমান।

মৃত কাদের নেতার পুত্র সজিব বলেন, ছেলেটা আমার পাশের একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে তাই মারধর করা হয়েছে। কোন মেয়ের সাথে প্রেম করে কিংবা সে মেয়েটি অভিযো করেছিনা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সজিব বলেন, মেয়ে কিছু বলেনি সে আমাদের এলাকায় অপরিচিত তাই একজনের নির্দেশে আমরা তাকে মারধর করি।

প্রত্যক্ষদশী আজগর বলেন, কোন কিছুই বুঝে উঠার আগে অভিযুক্তরা সুমি ও সুমির আত্বীয় স্বজনদের ওপর মারধর করে।

চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহতদেরকে থানায় আসতে বলেন।

(আইইউএস/এএস/এপ্রিল ০৫, ২০২৪)