যশোর প্রতিনিধি : যশোরে ব্যাক বেঞ্চার মেজবান নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে অর্ধেক মূল্যে ঈদের প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে শহরের আর এন রোড নতুন বাজারের সামনে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রির এই দোকান বসে। “আমরা একা ভালো থাকবো না” আমরা আমাদের বাড়ির পাশের প্রতিবেশিকে নিয়ে ভালো থাকবো। সবাইকে নিয়ে একসাথে ঈদ উদযাপন করব। এমন চিন্তা চেতনা নিয়ে এক ঝাঁক যুবক মিলে বাজারের দামের অর্ধেক দামে ঈদের দিন প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য যেমন সেমাই, চিনি, আটা, নুডুলস, দুধ, বিরিয়ানির চাউল, তেল, মসলা ও তেল বিক্রি করেছেন। বাজার থেকে এই ৯টি পণ্য কিনতে খরচ হত প্রায় ৮শত ২৭ টাকা সেই খাদ্যপণ্য মাত্র ৪শত টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। যাদের এই সব খাদ্যপণ্য প্রয়োজন কিন্তু অর্থের অভাবে কেনা সম্ভব না। সেই সব মানুষগুলোর মধ্যে জরিপ করে ৩শত ৩০ টি পরিবারকে এই সেবার মধ্যে আনা হয়েছে।


ব্যাক বেঞ্চার মেজবানের সভাপতি মো. জাকিউল ইসলাম বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে জরিপ করে প্রকৃত ব্যক্তি বা পরিবারকে খুঁজে বের করেছি। আমাদের সমাজে এমন আনেক পরিবার রয়েছে যাদের প্রয়োজনের কথা কাউকে বলতে পারে না, আবার প্রয়োজনও মেটাতে পারে না। আমরা চেষ্টা করেছি এমন মানুষদের এই সেবার আওয়াতায় আনার। ঈদের দিন একবেলা হলেও এই সব মানুষগুলো যেন তৃপ্তি সহকারে খেতে পারে। আমরা ২০ থেকে ২২ জন বন্ধুসহ আমাদের শোভাকাঙ্খি ও কিছু ব্যবসায়ির প্রচেষ্টায় এই আয়োজনটি করতে পেরেছি।

ব্যাক বেঞ্চার মেজবানের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বলেন,‘ আমাদের বাড়ির পাশের মানুষটি ভালো ভাবে ঈদ করতে পারবে না অথচ আমরা ঈদে ভালো খাবো নতুন কাপড় পরবো এমনটা হতে পারে না। সবাইকে নিয়ে ভালো ভাবে ঈদ উদযাপন করার চিন্তা চেতনা নিয়ে আমরা বন্ধুরা মিলে এই সুলভ মূল্যের ঈদ বাজারের আয়োজন করেছি। আমরা কখনও সামনের সারির ছাত্র ছিলাম না, পিছনের সারির ছাত্র ছিলাম। সামনের সারির ছাত্ররা বড় বড় ডাক্তার হয়, প্রকৌশলী হয়। দেশের প্রয়োজনে, সমাজের মানুষের প্রয়োজনে পিছনের সারির ছাত্ররাই সবার আগে এগিয়ে আসে। সেই জায়গা থেকে মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য আমরা এক দল পিছনের সারির বন্ধুরা মিলে ব্যাক বেঞ্চার মেজবান নামে স্বেচ্ছায় মানুষকে সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

(এসএমএ/এএস/এপ্রিল ০৫, ২০২৪)