তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : মেয়ের ঘরের ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন শহিদ মাতুব্বর (৪৮)। আর এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন তার স্ত্রী ও ছেলে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দী প্রদান করেন। সেখানে তিনি ওই শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের বর্ণনা দিয়েছেন। পরে শহিদ মাতুব্বরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুকসুদপুর থানার এস আই মনির হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।   

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকালে মুকসুদপুর থানা পুলিশ মুকসুদপুর উপজেলার কমলাপুর ব্রীজ এলাকা থেকে সহিদ মাতুব্বরকে গ্রেফতার করে। সহিদ মাতুব্বর মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের মৃত বলা মাতুব্বরের ছেলে।

মুকসুদপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত ২১ মার্চ নানা শহিদ মাতুব্বরের বাড়িতে তার মেয়ের ৯ বছর বয়সের শিশু মেয়ে বেড়াতে আসে। শহিদ মাতুবরের স্ত্রী তাজু বেগম ও ছেলে ইমন মাতুবরের সহযোগিতায় সহিদ মাতুব্বর তার নাতনিকে ৪ দিন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি ওই বিষয় নানী তাজু বেগম ও মামা ইমন মাতুবরকে জানায়। তারা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করে। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা (নয়ন সিকদার) গত ১ এপ্রিল বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

ওই শিশুর পিতা এ ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ০৬, ২০২৪)