ফয়জুল মুনির, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা হঠাৎ চারিদিক অন্ধকার হয়ে যায়। ক্ষানিক বাদেই কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, গাছপালা সহ বিভিন্ন স্থাপনা।ভয়াবহ ঝড়ের প্রভাবে গাছ চাপায় একজন এবং বজ্রপাতে একজন মোট দুইজনের মৃত্যু এবং আহত হয়েছে অন্তত ২০ জনের মতো।

ক্ষয়ক্ষতি পরিমান ব্যাপক। ৭ এপ্রিল রবিবার বেলা ১১ টার দিকে প্রায় ৪০ মিনিট কালবৈশাখী তান্ডব চালায় এই উপজেলায়৷

এসময় দাশপাড়া ইউনিয়নের চরালকী গ্রামে গাছের নিচে পড়ে মৃত্যু হয় সাফিয়া বেগম (৯৮) এবং নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাতেরকাঠি গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় রাতুল (১৩) নামে এক কিশোরের। এছাড়ায় ভাঙা ডালের আঘাতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

অপরদিকে, কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর চরে একই সময় বজ্রপাতে দুটি গরু মারা যায়।কেশবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক অপু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গরু দুটির বাজার মূল্য আনুমানিক ৩,২৫০০০/- টাকা। আহতদের মধ্য অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পশ্চিম আঙ্গারিয়া মাদ্রাসা ব্রিজের কাছে বিশাল বটগাছ উপরে রাস্তা বন্ধ, আক্কেল আলীর অটোগাড়ীটি সেই বট-গাছের নিচে চাপা পরে গাড়ী ভেঙ্গে গেছে।

বাউফলে যাতায়াতের শতশত গাড়ী আটকা পরে ২ ঘন্টা গাড়ী চলাচল বন্ধ ছিল ।পুরো উপজেলা বর্তমানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। এই কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েক হাজার গাছপালা ভেঙে পড়েছে এবং প্রায় অর্ধশত ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

(এফএম/এএস/এপ্রিল ০৭, ২০২৪)