রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : ফরিদপুরের কানাইপুর বাজারের ধান হাটায় প্রায় ৮/৯ মাস আগে ০.৬২ শতাংশের একটি দোকান কিনেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. নান্নু শেখ। জমির ৭ লাখ টাকা বায়না ও দোকানের জমির মিউটেশনটিও নিজ খরচে করেন নান্নু। তারপর জমি রেজিষ্ট্রেশনের দিনক্ষণ ঠিক করেন। কিন্তু গিয়াসউদ্দিন ও শাহাবুদ্দিন নামের দুই দাতা রেজিষ্ট্রেশন বুঝিয়ে দিতে বিভিন্ন তালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেন কানাইপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও ভাটি কানাইপুর নিবাসী মো. ইব্রাহিম শেখের পুত্র মো. নান্নু শেখ।

নান্নু শেখ আরও জানান, ‘আমি জমির রেজিস্ট্রি বায়না করতে গিয়ে জানতে পারি জমির মিউটেশন করা নাই। পরে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রাথমিক বায়না করি। তার কিছু দিন পরে প্রয়োজন দেখিয়ে আরও ৫ লক্ষ টাকা নেন জমির দাতা গিয়াসউদ্দিন ও শাহাবুদ্দিন। তাছাড়া জমির সমস্ত কাগজপত্র আমাকে দিয়ে বলেন জমির মিউটেশন করাতে। আমি সব কাগজপত্র ঠিকঠাক করে দাতাকে জমি'র রেজিষ্ট্রেশন করার তাগিদ দেই। দাতাগণও আমাকে জমি রেজিষ্ট্রেশন এর প্রস্তুতি নিতে বলেন এবং জমি রেজিষ্ট্রেশনের তারিখ নির্ধারণ করে দেন। আমি সমস্ত কাগজপত্র ঠিকঠাক করি এবং রেজিষ্ট্রেশন নিতে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করি। এমনকি দাতাগণের কাগজপত্রের সহযোগিতায় আমাদের স্থানীয় এক দলিল লেখক দ্বারা জমির দলিলও লেখে কমপ্লিট করে রাখি। কিন্তু তারা কারণ দেখিয়ে পরপর দুইবার তারিখ ঘুরিয়ে দেন। এখন জমির রেজিষ্ট্রেশন বুঝিয়ে দিতে বহু তালবাহানা করছেন দাতা গিয়াসউদ্দিন ও শাহাবুদ্দিন।'

নান্নু শেখ আরও জানান, 'এই বিষয়ে আমি অনেকের সাথে কথা বলেছি কিন্তু কোন ফায়দা হয়নি। আমি শীঘ্রই আইনের আশ্রয় নিবো।’

এ বিষয়ে জানতে জমিটির প্রধান দুই দাতা গিয়াসউদ্দিন ও শাহাবুদ্দিনের সাথে চেষ্টা করেও কোন প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। দোকানটি বর্তমানে ক্রেতা মো. নান্নু শেখের দখলে রয়েছে। এবং দোকানটিতে বায়না সূত্রে মালিকানার একাধিক সাইনবোর্ডও দোকানের বাইরে ও ভিতরে টাঙানো রয়েছে।

(আরআর/এসপি/এপ্রিল ২০, ২০২৪)