ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে সরকার। অথচ পাবনার ঈশ্বরদীতে পুরোদমে চলছে প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য। প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় শিক্ষকদের বাড়িতে বাড়িতে, সরকারি কলেজের সামনে ভাড়া করা দোকানে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তীব্র দাবদাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছ। 

প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের গাদাগদি করে বসে থাকতে দেখা গেছে। নেই পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যাবস্থা। অনেকের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। এক ঘন্টা সময়ের কোচিং ২৫-৩০ মিনিটেই শেষ হচ্ছে।
তৃতীয় শ্রেণীর শিশু থেকে শুরু করে অনার্সের শিক্ষার্থীরা তীব্র গরমের মধ্যে প্রাইভেটের জন্য দৌড়ে বেড়াচ্ছে।

অভিভাবকরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে প্রাইভেট কোচিং কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখলে ভালো হতো। তীব্র গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে না থেকে কোচিং এর জন্য ছুটছে। বাড়ি ফেরার পর অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

নাম প্রকাশ না করে জনৈক অভিভাবক বলেন, শিক্ষকতা পেশায় যারা আছেন তাদের মানবিক হওয়া উচিত। কিন্তু এখন উল্টো। টাকার জন্য মানবিকতা বিসর্জন দিয়েছে।

রাজাপুর গ্রাম থেকে কোচিংয়ে পড়তে আসা কলেজ শিক্ষার্থী মিমি বলেন, গরমে বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না। এরপরেও মেধার বিকাশ করতেই যেতে হচ্ছে । প্রচণ্ড গরমে গাদাগদি করে বসলে সারা শরীর থেকে ঘাম ঝরে। পড়াও তেমন হয় না। ২৫-৩০ মিনিট পড়িয়ে ছুটি দেন। স্যারেরা যদি এই প্রচণ্ড গরমে পড়ানো বন্ধ রাখতেন, তাহলে খুব ভালো হতো।

আবার কেউ কেউ বলছেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারছি না। কোচিংয়ে পড়াশোনা এগিয়ে যাচ্ছে । স্কুল-কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা। পড়াশোনা না করলে পরীক্ষায় লিখতে পারব না।

এ ব্যাপারে সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, প্রাইভেট কোচিং বিনাপুঁজির বিশাল বাণিজ্য। তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে যারা কোচিং বাণিজ্য চালু রেখেছেন তারা নীতিবহির্ভূত কাজ করছেন।

(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ২৬, ২০২৪)