রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আম নিরাপদ প্রক্রিয়ায় বাজারজাত করার জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সূচি অনুযায়ী, আগামী ০৯ মে থেকে গোপালভোগ, ১১ মে গোবিন্দভোগ, ২২মে হিমসাগর, ২৯ মে ন্যাংড়া এবং ১০জুন আম্রপালি জাতের আম পাড়া যাবে। ধাপে ধাপে অন্যান্য আম সংগ্রহ করা যাবে। ১০জুনের আগে আম্রপালি আম সংগ্রহ করা যাবে না।

রবিবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে ‘নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রমাসন মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় অপরিপক্ব আম পেড়ে রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন।এদিকে শনিবার (৪ মে) সাতক্ষীরায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো ট্রাকভর্তি ১২ মেট্রিক টন অপরিপক্ক গোবিন্দভোগ আম জব্দ করে ধ্বংস করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার পাইথলী ও বুধহাটা দুই ট্রাক আম জব্দ করা হয়। পরে বিকেলে জেলা প্রমাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আকাশ ও র‌্যাবের এএসপি ফয়সাল তানভীরের নেতৃত্বে তা শহরের সুলতানপুর পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গাড়ির চাকার নিচে ফেলে ও কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে ধ্বংস করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আকাশ জানান, সাতক্ষীরার পাইথলী ও বুধহাটা থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো ট্রাক ভর্তি আম রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে এমন খবরে পাইথলি ও বুধহাটা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় সেখান থেকে ট্রাকভর্তি প্লাস্টিকের ৫০০ ক্যারেটে থাকা ১২ মেট্রিকটন গোবিন্দভোগ আম জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য ১৯ লাখ টাকা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আকাশ জানান, সাতক্ষীরার আমের দেশব্যাপী সুনাম রয়েছে। কিন্তু একটি অসাধু চক্র রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে অপরিপক্ক আম পাকিয়ে তা বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। জেলার আমের সুনাম রক্ষায় এবং ভেজাল খাদ্য বাজারে বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া জেলা প্রশাসন নির্ধারিত তারিখের আগে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত না করার জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। তবে আমে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে ০৩ মে ৯ মেট্রিকটন অপরিপক্ব আম বিনষ্ট করে প্রশাসন।

ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০মেট্রিকটন অপরিপক্ব আম জব্দ করে তা বিনষ্ট করা হয়েছে।

(আরকে/এএস/মে ০৫, ২০২৪)