সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : কালবৈশাখীর ছোবলে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে হাসিনা সাহিদ নিম্ন মাধ্যমিক মডেল একাডেমীর একটি টিন সেড ঘর। গত রবিবার সন্ধ্যার পর কালবৈশাখীর ছোবলে নিমিষেই লন্ড ভন্ড করে দেয় স্কুল ঘরটি। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা পাঠ গ্রহনের ক্ষেত্রে খোলা আকাশের নিচে বসে চরম অসুবিধার সন্মূখীন হচ্ছে।

আজ সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে ঝড়ে লন্ড ভন্ড স্কুল ঘরটি দেখতে যান।

এ সময় গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান সোহাগ ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ গ্রহণের সুবিধার্থে দ্রুত একটি টিন সেড ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানান। ইউএনও জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে দ্রুত ঘর নির্মাণের আশ্বাস দেন।

কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের গাড়াউন্দ মাষ্টার বাড়ি প্রাঙ্গনে ২০১০ সালে স্থাপিত হয় হাসিনা সাহিদ নিম্ন মাধ্যমিক মডেল একাডেমী। পিছিয়ে থাকা এলাকার শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হাসিনা সাহিদ কিন্ডার গার্টেন ক্রমাগত ভাবে এগিয়ে বর্তমানে হাসিনা সাহিদ নিম্ন মাধ্যমিক একাডেমী হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে ওই একাডেমীতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৩ শতাধিক এবং শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা ১৪ জন। প্রতি বছর ফলাফলও ভালো করে।

একাডেমীর প্রধান শিক্ষক এম. এ সালাম জানান, রবিবার সন্ধ্যার পর মাত্র দুই মিনিটের কালবৈশাখীর তান্ডবে প্রায় চল্লিশ হাত লম্বা টিন সেড ঘরটি মহুর্তেই লন্ড ভন্ড করে দেয়। অফিস কক্ষের অনেক আসবাবপত্র অনেক মূল্যবান কাগজ পত্রও নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রায় দশ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিদ্যালয়টিতে চারতলা বিশিষ্ট একটি একাডেমীক পাকা ভবন নির্মাণের দাবী জানান তিনি।

এদিকে ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়া ঘর দেখতে ছুটে যান কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নুরুল ইসলাম ও সাবেক চিরাং ইউপি চেয়ারম্যান সালমা আক্তার। তারাও এই প্রতিষ্ঠানে একটি একাডেমীক পাকা ভবন নির্মাণের দাবি জানান।

(এসবি/এসপি/মে ০৬, ২০২৪)