‘কাউকে নির্বাচনে নিয়ে আসার সুযোগ নির্বাচন কমিশনের নেই’

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘প্রিজাইডিং অফিসাররা কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর তা পরিবর্তনের আর কোন সুযোগ থাকেনা। কাজেই যারা ফলাফল ঘোষণার পর গোন্ডগোল করেন তা অনর্থক। তার চেয়ে বরং আইনের আশ্রয় নিবেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুানালে অভিযোগ করবেন।’
আজ রবিবার দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিয়ম শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের একথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
ইসি বলেন, কেন্দ্রে থেকে পুলিং এজেন্ডদের বের করে দিলে, জোর করে জ্বাল ভোট দিলে, কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে থাকা আইশৃংখলা বাহিনীকে জানান। তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন। এরপরও ফল না হলে সাংবাদিকদেরও জানান। তারা অনিয়মের খবর তাদের মিডিয়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে তুলে ধরবেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা কোন অনিয়ম নয়, অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা যা করনিয় তাই করছি। আমরা চাই সবদল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু তাদেরকে বাধ্য করার বা নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য আলোচনা করার সুযোগ আমাদের হাতে নেই। নির্বাচন কমিশনের আইনে এমন কোন ক্ষমতা আমাদেরকে দেয়া হয়নি। তবে সবাই নির্বাচনে আসুক, নির্বাচন করুক এটা যেমন জনগণের প্রত্যাশা তেমনি আমাদের প্রত্যাশা।’
তিনি আরও বলেন, প্রার্থীদের ভোটে জয় পরাজয় দুটি মেনে নেয়ার মানষিকতা থাকতে হবে। একটি পদে একজনই নির্বাচিত হবেন, একাধিক জন নয়। কাজেই নির্বাচনে হেরে গিয়ে গোলজগ করার অভ্যাস পরিহার করতে হবে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে প্রার্থীদের উচিত কেন হেরে গেলাম, ভুল কি ছিল, নিজের আত্মসমালোচনা করে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন, দেখবেন পরেরবার ভাল করেছেন। কে হারলো কে জিতল এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়, শুধু নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে কি না সেটাই আমাদের মুখ্য বিষয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইসি বলেন, যারা দায়িত্ব পালন করে তারা সবাই সমান নয়, তবে সাংবাদিকদের কাজ হচেছ, নিয়মের মধ্যে থেকে নিজেদের কাজ আদায় করে নেয়া । যারা ভাল আচরণ করেন না তাদেরকে আমরা শর্তক করব যেন সাংবাদিকদের নিয়মের মধ্যে থেকে সকল সহযোগীতা প্রদান করেন। তা ছাড়া বিধি মালায় সব দেয়া আছে সেটা মানলেই তো কারও কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ আবু জাফরের সভাপতিত্বে বতবতব্য রাখেন, মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার মাহ ইফতেখার আহমেদ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, দিনাজপুরের সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মোঃ কামরুল ইসলামসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
(এসএস/এসপি/মে ২৬, ২০২৪)