যশোরে রেমালের প্রভাব; সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : সারাদেশের ন্যায় যশোরেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে। রবিবার (২৬ মে) সারাদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিন আকাশ মেঘলাসহ বাতাসের প্রভাব ছিলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। জেলা শহরসহ উপজেলা ও ইউনিয়নে ইউনিয়নে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে মাইকিং করা হয়েছে। জেলা জুড়ে যথেষ্ঠ সতর্কতা ও আপদকালিন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের খবরে শহরজুড়ে সাধারণ মানুষের ভিতরে ভীতি কাজ করছে। আনেক দোকানি বিকেল বেলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। শহরে মানুষের পদচারণা কিছুটা কমেছে। ইজিবাইক, রিস্কা চালকরা থেমে থেমে বৃষ্টিতে ভিজে যাত্রী খুঁজছেন। কিন্তু ঘর থেকে মানুষ কম বের হওয়াতে অনেকেই যাত্রী পাচ্ছেন না।
যশোর শহরের সার্কিট হাউজের সামনে কথা হয় রিস্কা চালক মো: ইসারত খাঁ এর সাথে। তিনি বলেন, সকালে রিস্কা নিয়ে বের হয়েছিলাম। তেমন ভাড়া পাইনি। বিকেলে বের হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪০ টাকা আয় হয়েছে। শুনতেছি ঝড় হবে। সেই ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। অনেক দিন ঝড় বৃষ্টি হয়নি তো। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। দেখি ভাড়া না পেলে আমিও বাড়ি চলে যাবো।
ইজিবাইক চালক ইকলাস মোল্যা বলেন,সকালের দিকে বাইরে লোকজন ছিলো। অনেক জন পরীক্ষা বন্ধ না জেনে পরীক্ষা দিতে এসেছিলো। সন্ধ্যার সময় ঝড় উঠবে শুনে সবাই ঘরে ফিরে যাচ্ছে। বাইরে লোকজন কম, ভাড়াও কম পাচ্ছি।
ফল বিক্রেতা কামারুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন ফুটপাতে বসে ফল বিক্রি করি। আজ বেচা বিক্রি নেই। এখন দোকান গোছায়ে বাড়ি যাবো।
আব্দুস সালাম নামে একজন পথচারি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে যশোরে বৃষ্টি ও ঝড়ের প্রভাব সকাল থেকে দেখা যাচ্ছে। যদিও আমরা উপকূলের জেলার বাসিন্দা না। তারপরও সতর্ক থাকতে হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবে বাজার থেকে বাড়ি একটু দেরি করে ফেরা হয়। আজ সন্ধ্যায় রেমাল আঘাত হানতে পারে এমন খবর শুনে বাইরের কাজ সেরে দ্রুত বাসায় ফিরছি।
(এসএমএ/এএস/মে ২৬, ২০২৪)