সুবর্ণচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিথ্যা মামলা ও হামলার অভিযোগ

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চাঁদা না দেয়ায় জমি দখলের ইন্ধন ও মিথ্যা হামলা মামলার অভিযোগ উঠেছে চরওয়াপদা ইউনিয়নের ধানের শীষ গ্রামের ইউপি সদস্য রিপন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা মামলার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আলোচিত পায়ুপথে টর্চ লাইট ডুকিয়ে হত্যা চেষ্টা’ ঘটনায় দু পক্ষের বিরোধকে সামনে এনে নিরিহ একটি পরিবারকে বলির পাঠা হতে হচ্ছে বলে দাবী পরিবারটির।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ৩১শে মে শুক্রবার জুমার সময় চলাকালিন সময়ে চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরবৈশাখী গ্রামে রাহেনা বেগমের বাড়িতে রিপন চৌধুরী ওরপে (রিপন মেম্বার) এর ইন্ধনে তার সাঙ্গপাঙ্গরা দলবল নিয়ে এসে রাহেনা বেগমের জমিতে ঘর তুলে দখলের চেষ্টা করে। পরে এঘটনায় জুমা থেকে এসে লোকজন তাড়া করলে তারা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী অসহায় রাহেনা বেগম বলেন, তার মা ফয়জুন নেসার মৃত্যুর পর তাদের তিন বোন এবং চার ভাই ফারায়েজ মোতাবেক জমি পেয়েছেন। মায়ের মৃত্যুর ৫/৬ বছর পরই তার ভাই হারুন রশীদ মৃত্যু বরণ করেন। পরে ২০১৫ সালে তার ২য় স্ত্রী সালেহা বেগম এবং সন্তান তানিয়া, রোকসানা,রিপন ও মামুন তাদের জমির ৯.৬৫ শতাংশ আমার (রাহেনার) নিকট নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিক্রি করেন। এবং আরিফ ও ওসমান দুজন নাবালক থাকায় তাদের জমির পরিমান থেকে যায়।
আরিফ ও ওসমানের সম্পত্তির জন্য রাহেনা বেগমের নিকট টাকা দাবি করেন। রাহেনা দিতে স্বীকৃতি দিলেও তাদের মা সালেহা বেগম পাশ্ববর্তি ধানের শীষ গ্রামের ইউপি সদস্যের প্ররোচণায় এবং তাকে পুরো জমি দখল করে দেয়ার আশ্বাসে নোটারি পাবলিকের কথা অস্বীকারের কথা জানান। এঘনায় দুপক্ষের মামলা রয়েছে বলে দুপক্ষই নিশ্চিত করেছেন। মামলা নং জিআর ৬৩/২৪।
এ ঘটনায় রাহেনা বেগম ও মৃত হারুনের ছোট ভাই মো. আব্দুল আলিম জানান, তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার বোন ২ লক্ষ টাকা দিয়ে আমাদের সম্মুখে জমি বিক্রি করে। এ নিয়ে কখনো আমাদের বিরোধ ছিল না । আমাদের ইউপি সদস্য ও পাশ্ববর্তী গ্রামের ইউপি সদস্যের মাধ্যে বহুদিন ধরে সংঘাতের জের ধরে আমাদের পরিবারের মাঝে অশান্তি তৈরী করেছে রিপন মেম্বার।
এ বিষয়ে গত ২৪ মে আদালত বিরোধকৃত জমির উপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও ৩১মে শুক্রবার আমরা জুমায় থাকায় জুমা চলাকালিন সময়ে রিপন মেম্বার তার দলবল পাঠিয়ে বিরোধকৃত যায়গায় ঘর দেয়ার চেষ্টা করে। আমরা এসময় তাদের তাড়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এঘটনায় তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন তারা।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রিপন চৌধুরী বলেন, আমার নামে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, সদ্য শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনের ভোটে পক্ষ পাতিত্ব নিয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে, এবং উল্টো আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে আমি এসব মিথ্যা অপবাদের নিন্ধা জানাই।
অভিযুক্ত মামুন বলেন, আমরা রাহেনা বেগমের কাছে কোন জমি বিক্রি করিনি, তাদের কাছে কিছু টাকা ধার নিয়েছি।
(এস/এসপি/জুন ১৩, ২০২৪)