একে আজাদ, রাজবাড়ী : আসন্ন ঈদ-উল-আজাহা উপলক্ষে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। তবে তেমন কোন ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে যাত্রীরা। 

আজ শনিবার সকালে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনাল পরিদর্শন ও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ।

তিনি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ঘাটে যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ী পৌঁছে দিতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নেওয়ার অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা চাই মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ী ফিরতে পারেন।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার, ডিবির ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান খান, রাজবাড়ী সদর থানা ওসি মোঃ ইফতেখারুল আলম প্রধান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি প্রাণ বন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ শনিবার সকাল থেকেই দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরী ঘাটে যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যাত্রী পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। যানবাহন ও যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে লাঞ্চের পাশাপাশি ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।

সরেজমিন লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী আনলোড করে খালি লঞ্চ গুলো পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে দেখা যায়। ৭ নং ফেরি ঘাটে গিয়েও দেখা যায়, খালি ফেরি ছেড়ে পাটুরিয়া ঘাটে ঘাচ্ছে। পাটুরিয়া থেকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ফিরে আসছে। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী ও যানবাহনের চাপও বেশি।

লঞ্চ যাত্রী আয়েশা আক্তার বলেন, ঘাটে কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ী ফিরতে পারছি।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ফেরীতে পার হলাম। কোন ভোগান্তির শিকার হতে হয়নি।

বিআইডব্লিউটিএর দৌলতদিয়া ঘাট ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. শিমুল ইসলাম ও বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপারে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

(একে/এসপি/জুন ১৫, ২০২৪)