শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : সৌদি আরবের সাথে সংগতি রেখে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ জেলার ৬টি উপজেলায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে কমপক্ষে পাঁচ সহস্রাধিকভ পরিবার।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮'টায় দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে, আগাম ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।এই জামায়াতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মহেশপুর গ্রামে অবস্থিত ফ্যামিলি কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার প্রতিষ্ঠা পরিচালক ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মোহাজেরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।

এই জামায়াতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ প্রায় ২৫০ জন মুসল্লি অংশগহণ করেন। নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হয়।

অন্যদকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকায়, কাহারোল উপজেলা সদরের জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইল এলাকায়, বোচাগঞ্জে, বিরল উপজেলার বনগাঁ জামে মসজিদে ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে কয়েকশ’ পরিবারের মানুষ ঈদুল আজহা'র নামাজ আদায় করেছেন।

দিনাজপুর শহরের চারুবাবু'র মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল আজহা'র নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুৎবায় একই দিন ঈদ ও কুরবানী করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সবাইকে একই দিনে ঈদ ও কুরবানী করার আহবান জানানো হয়। এ সময় পবিত্র কুরআনের আয়াতের আলোকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানানো হয়।

পার্টি সেন্টারে ঈদুল আজহা'র নামাজ আদায়কারীদের কয়েকজন মুসল্লি জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজেলায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ আরো কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।

দুইজন মুসল্লির সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা প্রথমে আগাম ঈদ নামাজ পড়ার বিরোধিতা করেছেন। পরে কুরআন ও হাদিস পড়ে যখন জানতে পারলেন যে এটিই সঠিক তখন থেকে তারা এই নামাজের জামায়াতে শরিক হয়েছেন।

উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ২০২৪ সালে এসে তা বেড়ে পাঁচ সহস্রাধিক পরিবারে পৌঁছেছে। নামাজের আদায়ের পর অনেকে পশু কোরবানিও দিয়েছেন।

(এসএস/এসপি/জুন ১৬, ২০২৪)