রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের মঙ্গলকোট বাজারে অগ্নিকাণ্ডে আল আমীন টিম্বার হাউজ ভস্মীভূত হওয়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদ। এসময় তার সাথে ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ফরিদপুরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. শামসুল হক ভোলা মাস্টারসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর শাহ মো. আক্কস প্রামানিককে সমবেদনা জানান এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৭ টি ছোট মেশিন, ৮ টি বড় মেশিন, তৈরি ফার্নিচার, কাঠ, ঘরসহ প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর শাহ্ মো. আক্কাছ প্রামানিক।

আক্কাছ প্রামানিক বলেন, সোমবার দিবাগত রাত পৌনে তিন টায় প্রতিষ্ঠানে আগুনের খবর পাই। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা রাত সাড়ে তিনটা ঘটনাস্থলে আসে। এর আগে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিস প্রায় আধাঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে সব শেষ।

তিনি বলেন, আমার আল্আমীন টিম্বার হাউজে একটি কাঠ চিরাই স'মিল, ফার্নিচার ডিজাইন কারখানা ও সো রুম রয়েছে। আমার ডিজাইন কারখানা ও তৈরিকৃত সকল কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, আজ আমার বেদনা অনেকটাই লাঘভ হয়েছে। কারন ফরিদপুর সদর আসনের সাংসদ গন মানুষের নেতা আজ আমার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানে এসেছেন। আজ তিনি আমার কষ্টকে তার কষ্ট হিসেবে ভাগ করে নিয়েছেন। এর থেকে আর বড় পাওয়ার কিছু নেই।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা সুভাষ বাড়ৈ জানিয়েছিলেন, আগুনের খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সুত্রপাত। আগুনে ফার্নিচার কারখানাটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। পাশের একটি ফার্নিচার শো রুমও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সাংসদ এ কে আজাদ এসময় বলেন, 'আমি যে কোন বিপদ আপদে আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো। আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আর আমি গেরদা ইউনিয়নের পশরায় বিনামূল্যে গার্মেন্টস এর ট্রেনিং সেন্টার করেছি। সেখানে আপনাদের ছেলে মেয়েদের ভর্তি করাবেন। এক মাসের ট্রেনিং শেষে তাদের চাকরি দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হবে।'

(আরআর/এসপি/জুন ১৭, ২০২৪)