নড়াইলে জমি নিয়ে জাল-জালিয়াতি মামলায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার
রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়ায় জমি নিয়ে জাল জালিয়াতি মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের ছাতরা গ্রামের এস. এম কামরুল হাসান রানা ১৯৯২ সালের ১৮ জুন ১৯৩২ নং খোশকবলা দলিল মূলে অমূল্য কুমার সাহার কাছ থেকে ৬৭নং ছাতরা মৌজায় একাধিক দলিলে এবং একাধিক দাগে ৪৮৮ শতক জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছিল। পরবর্তীতে আর এস রেকর্ডের মালিক অমূল্য কুমার সাহার আর এস খতিয়ান নং ৬ হতে এস এম কামরুল হাসান রানা নামজারি ও জমা-খারিজ মামলা নং ৬৫৬/ IX!1/ ২০১৩/১৪ মূলে হাল দাগ নং ১২, জমির পরিমাণ ১২৭ শতক, হাল দাগ নং ১৩, জমির পরিমাণ ২৮ শতক, হাল দাগ নং ৯৩, জমির পরিমাণ ৮৮ শতক, হাল দাগ নং ২৯৩, জমির পরিমাণ ২৮ শতক, হাল দাগ নং ২৯৩, জমির পরিমাণ ৩৩ শতক সর্বমোট ৩০৪ শতক জমির নামজারি এস এম কামরুল হাসান রানার নামে প্রাপ্ত হয়েছে।
কিন্তু উক্ত জমিজমা নিয়ে পৌরসভার সরকার পাড়ার কুখ্যাত ভূমিদস্যু, জাল-জালিয়াতকারী মৃত সৈয়দ রোস্তম আলীর ছেলে সৈয়দ আফতাব আলী (৭০) ও তার স্ত্রী সৈয়েদা রহমাতুন্নেছা (৬২) এবং তার ছেলে সৈয়দ আনিচুর রহমান (৩৫) পরস্পর যোগসাজশে জাল দলিল করে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কাগজপত্র দাখিল করে নড়াইলের বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত দায়েরকৃত মামলায় আর এস খতিয়ান নং ৬, হাল দাগ নং ১২, জমির পরিমাণ ১২৭ শতকের মধ্যে ৯৫ শতক এবং হাল দাগ নং ২৯২ জমির ২৩ শতকের মধ্যে ১৮ শতক জমি দাবি করে উক্ত ভূমিদস্যু চক্র মামলা দায়ের করেন এবং উক্ত জমি দখল করার জন্য এলাকার অসাধু ব্যক্তিদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করে আসছিল।।
উক্ত ভূমিদস্যু চক্রের উল্লেখিত কার্যকলাপ জানতে পেরে জমির মালিক এস. এম কামরুল হাসান রানার ছেলে এস. এম মাহমুদুল হাসান সম্রাট বাদী হয়ে লোহাগড়া আমলী আদালতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ওই ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে একটি জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পর লোহাগড়া থানার এ এস আই মো: জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
(আরএম/এএস/আগস্ট ০৩, ২০২৪)