সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া বিয়াশ ও বেড়াবাড়ী গ্রামের ৩ শতাধিক জেলেসহ কয়েক হাজার মানুষের দিন কাটছে আতংকে। এলাকার প্রভাবশালী সাইফুল ও তার ভাই রেজাউলের বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে দিননিপাত করছে ওই এলাকার হাজারো লোকজন। এরমধ্যে জেলে পরিবার তাদের ভয়ে ততস্থ । চলনবিলে অবৈধ সুঁতি জাল, জমি দখল বাড়ি দখল লুটপাট, জখম হত্যাসহ নানা অপকর্মে জড়িত এ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, বেড়াবাড়ী গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের পুত্র রেজা ও সাইফুল দীর্ঘদিন থেকে এলাকার আধিপত্য বিস্তার করে অপরাধ সংঘটিত করে আসছে । সাইফুলের নামে লাইসেন্সকৃত ছাড়াও এ বাহিনীর কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে । এক সময়ে চরমপন্থী দলের সাথে ও তাদের সখ্যতা ছিল বলে জানা গেছে। র‌্যাব ও পুলিশী তৎপরতায় চরমপন্থী দলের আধিপত্য আর নেই। কিন্তু তাদের দাপট বেড়েছে।

এলাকাবাসী আরও জানিয়েছে, বিগত এক যুগে এ বাহিনীর দাপটে ঘর ছেড়েছে অর্ধশত পরিবার। খুন হয়েছে আমিরুল নামে এক যুবক। প্রায় ৩০জন গুলিবিদ্ধ ও ৪০টির মত ঘরবাড়ি লুটপাট হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। কিন্তু মামলার বাদীকে হুমকি দিয়ে প্রত্যাহারের চাপদেয়া হয়েছে। জীবনের ভয়ে মামলা করার সাহস পায়না অনেকে। বিগত ২০১৩ সালে সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সাইফুলের অস্ত্র জব্দ করার জন্য সংশিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। গত অক্টোবর মাসের সিংড়া আইন শৃংখলা সভায় তার অস্ত্র জব্দ করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

এবিষয়ে স্থানীয় ডাহিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এম এম আবুল কালাম বলেন, তাদের কাছে থাকা ওই সব বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে এলাকায় তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। অবৈধ সুঁতি জাল, জমি দখল বাড়ি দখল লুটপাট সহ নানা অপকর্মে জড়িত এ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ শতশত মৎস্যজীবির পরিবার এখন হুমকির মুখে।


সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, এলাকার শান্তি শৃংখলা রক্ষা করার জন্য পুলিশ সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । তার অস্ত্রটি জব্দ করার এখতিয়ার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের। তবে অস্ত্র জব্দ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সুপারিশ করা হয়েছে।

(এমএমএ/এএস/নভেম্বর ২৫, ২০১৪)