বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পরেই বিএনপি নেতার নির্দেশে ছাত্র সমন্বয়কের ওপর হামলা!
রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুরের অন্যতম সমন্বয়ক শাহরিয়ার হক সাকিবের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে শহরের বাজারিপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাতে সাকিব এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী সাকিব অভিযোগ করে বলেন, চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহযোগিতায় আমাদের একটা প্রোগ্রাম ছিল। আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে প্রোগ্রাম শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম। এসময় শামীম আহমেদের বাসার সামনে আসামাত্র শামীম আহমেদের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন সাগর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রানা ম্যানশন ও রিগ্যালসহ প্রায় ২০/২৫ জন লোক আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের হাতে থাকা লাঠি, রড দিয়ে আমাকে আঘাত করে। এসময় আমার মা, চাচী ও জেঠি প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও নির্যাতন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তারা শুধু মারধর করেই শান্ত হয়নি রীতিমত আমার বাবা ও আমাদের পরিবারের সবাইকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এর আগে জুম্মা নামাজের সময় আমার বাবা বড় মসজিদের ভিতরে তাদের রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে আমার বাবাকে তারা মারধর করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ছাত্ররা যে বাক স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছি আমাদের সেই বাক স্বাধীনতাই যদি না থাকে তাহলে কেন আন্দোলন করলাম। এসময় তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
হামলার প্রসঙ্গে বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ বলেন, হামলার ঘটনা সঠিক নয়, তবে একটু ধাক্কার ধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমি মধ্যস্ততা করে দেবো।
উল্লেখ্য, জামালপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় শুক্রবার শহরের বড় জামে মসজিদে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এসময় নামাজের আগে জেলা জাসাসের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম সজল রাজনৈতিক বক্তব্যকালে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান। প্রতিবাদ করায় বিএনপিনেতা শামীম আহমেদের লোকজন তাকে মসজিদের ভিতরেই মারধর করেন। একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে তাকে মসজিদের বাইরে বের করে দেন।
এরই জের ধরে ওই রাত ১১ টার দিকে যুবদলনেতা আমান উল্লাহ আমানের ছেলে বাড়ী ফেরার পথে শামীম আহমেদের নির্দেশে ২০/২৫ জন সাকিবের উপর হামলা করা হয়।
(আরআর/এএস/আগস্ট ৩১, ২০২৪)