ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


ত্বকের নানা সমস্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো র‍্যাশ, ব্রণ, আঁচিল। র‍্যাশ আর ব্রণ থেকে মুক্তি মিললেও আঁচিল থেকে যেন সহজে মুক্তি নেই। ত্বকের ওপর মাংসের যে সামান্য টুকরো দেখা যায় সেটিই আঁচিল। ক্ষতিকর না হলেও এটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।আর এটি সংক্রামক রোগ। ফলে শরীরের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়াতে পারে, এমনকি একজন থেকে অন্যজনেও ছড়াতে পারে।আঁচিল যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তবে শিশু ও কিশোর বয়সে বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া সংক্রমিত ব‍্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলনের মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্ক ব‍্যক্তির হতে পারে। যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তি বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী রোগীর ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।

আঁচিল মূলত কি?

আঁচিল আকারে ছোট, এক ধরণের বিনাইন টিউমার ( যে সব টিউমার ক্যানসার সৃষ্টি করে না তাদের বিনাইন টিউমার বলা হয়। অর্থাৎ, এই টিউমার গুলো আশেপাশের টিস্যুকে আক্রমণ করে না বা ছড়ায় না)। আঁচিলকে ননক্যানসারাস (noncancerous) বলা হয়। আঁচিল মূলত একটি বৃন্ত (Stalk) এর সাহায্যে চামড়ায় লেগে থাকে, যাকে Peduncle বলা হয়। আঁচিল হলে কোনো ধরণের ব্যথা অনুভূত হয় না। অনেকে তো বুঝতেও পারে না যে তার আঁচিল হয়েছে, যতক্ষণ না চোখে পড়েছে। মেডিকেল এর ভাষায় আঁচিলকে অনেক নামে ডাকা হয়। যেমনঃ acrochordon, fibroepithelial polyp, cutaneous papilloma ও soft fibroma।

আঁচিল কাদের হয়?

আঁচিল হওয়ার প্রবনতার দিকে নারী-পুরুষ উভয়েই সমানে সমান। তবে, বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আঁচিল হওয়ার হারও বেড়ে যায়, যেমনঃ মধ্যবয়সের পর আঁচিল হওয়ার প্রবণতা বেশি।

শরীরের কোথায় আঁচিল হতে পারে?

আঁচিল শরীরের যেকোনো জায়গায় হতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ঘাড়ে, বগলে, কুঁচকিতে, বুকের উপরের দিকে (নারীদের ক্ষেত্রে স্তনের নিচে)। এগুলো চোখের পাতায় এমনকি নিতম্বের ভাঁজেও হতে পারে। আপনার শরীরে আঁচিল একটা, দুইটা বা অনেকগুলো একসাথে হতে পারে।

আঁচিল কেন হয়?

ঠিক কি কারণে আঁচিল হয় তা এখনও জানা যায় নি। তবে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছেঃ * আপনারা একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, শরীরের ভাঁজে ভাঁজে অর্থাৎ যেখানে ত্বকে-ত্বকে অথবা কাপড়ের মাধ্যমে চামড়ায় ঘর্ষণ সৃষ্টি হয়, সে সব স্থানেই আঁচিল জন্মাতে দেখা যায়।

* যে সব মানুষের ওজন তুলনামূলক ভাবে বেশি এবং যারা স্থুলকায় তাদের আঁচিল হওয়ার হারও অনেক বেশি, কারণ তাদের শরীরের ভাঁজের সংখ্যাও বেশি।

* অতিরিক্ত ওজন টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকি বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা যায়, যাদের এধরনের ডায়াবেটিস আছে তাদের আঁচিল অন্যদের চেয়ে বেশি হয়। যেহেতু, টাইপ-২ ডায়াবেটিস হলে রক্তে সুগার লেভেল বেশি থাকে, সেহেতু আমরা সহজে বলতে পারি আঁচিল এর সাথে ইনসুলিন নামক হরমোনের সম্পর্ক আছে (ইনসুলিন হরমোন রক্তে সুগার এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।

* ইনসুলিন মাংসের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং এটা ত্বকের কোষের প্রতিরুপ সৃষ্টিতেও ভুমিকা রাখে। এভাবে পরবর্তীতে আঁচিল বিকাশেও ভুমিকা রাখে। একারণে আঁচিল হওয়াকে ডায়াবেটিসের পূর্ব সতর্ক সংকেত হিসেবে ধরা হয়। সবার হবে তা কিন্তু নয়, তবে ডায়াবেটিসের পরীক্ষা করে সচেতন থাকা উচিত।

* গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে (second trimester) আঁচিল হতে দেখা যায়। (গর্ভকালীন সময়ের ১৩-২৭ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কে second trimester বলা হায়। অর্থাৎ, ৪,৫,৬ নাম্বার মাস)।

* যাদের Crohn’s disease থাকে তাদের আঁচিল হওয়া মোটামুটি সাধারণ {এটা একধরণের chronic condition যেটা পরিপাক নালিতে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে অতিসার (diarrhea), পেট ব্যথা (abdominal pain), খিঁচুনি (cramping), কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation), মলদ্বারে রক্তক্ষরণ (rectal bleeding) হয়ে থাকে}। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাদের Crohn’s disease আছে, তাদের আঁচিল সাধারণত পায়ু পথের মুখে হয়ে থাকে।

* আঁচিল এর সাথে জিনগত একটা সম্পর্ক আছে, অর্থাৎ, একই পরিবারের অন্যান্য সদস্যেরও হতে পারে।

কিভাবে আঁচিলকে শনাক্ত করতে করবেন?

মনে আছে নিশ্চয়ই শুরুতে বলেছিলাম, আঁচিল বৃন্তের সাহায্যে চামড়ার সাথে যুক্ত থাকে। তাই আঁচিলকে চেনার প্রধান মাধ্যমই হচ্ছে এর বৃন্ত (peduncle)। বেশির ভাগ আঁচিল খুব ছোট হয়, আকারে ২ মিলি এর চেয়েও ছোট। তবে কিছু কিছু বড়ও হয়, আকারে কয়েক সেন্টিমিটার হতে পারে। আঁচিল হাত দিলে নরম লাগে। এরা নমনীয়, গোলাকার, বলিরেখার মতো (wrinkly) ও অপ্রতিসম হতে পারে। তবে, কিছু আঁচিল সুতোর মতো চিকন অথবা চালের দানার মতো হতে পারে। এদের রঙ সাধারণত ত্বকের রঙের (fleshed-colored) অনুরুপ হয়। অনেকসময় আঁচিলের রঙ আশেপাশের ত্বকের রঙ থেকে কালচে হয়ে থাকে। আর এটা হয়ে থাকে Hyperpigmentation এর জন্য।(Hyperpigmentation হচ্ছে এক ধরণের harmless condition যাতে শরীরের কিছু কিছু জায়গার রঙ অন্যান্য জায়গার চেয়ে কালচে হয়)। যদি কোনো আঁচিল মুচড়িয়ে যায়, তাহলেও এটা কালো হতে পারে, সেখানে রক্ত-প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য।

আঁচিল কি সংক্রামক?

না, শরীরে সাধারণত যে আঁচিলগুলো হয়ে থাকে তা যে সংক্রামক, এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।

কিছু ক্ষেত্রে যে সব মেয়েরা অলংকার পড়ে তাদের কেন সেখানে আঁচিল হয়?

এর পিছনের মুল কারণটি হচ্ছে ঘর্ষণ (Friction)। ঘর্ষণের জন্য ত্বকের কোষ গুলো শিথিল হয়, কিছুটা প্রসারণ ঘোটে। ত্বকে Elastin এর ঘটতির জন্যও এরকম হতে পারে। তাই, যেখানে প্রতিনিয়ত ঘষা লাগে সেখানে আঁচিলের দেখা হওয়ার আশা আমরা করতেই পারি! যারা অলংকার পড়েন যেমনঃ মালা (necklace) , তাদের মালার সাথে ঘাড়ের ত্বকের প্রতিনিয়ত ঘর্ষণের দরুন আঁচিল হয়ে থাকে।

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

অন্যান্য চর্মরোগ যেমনঃ Warts ও Moles এর সাথে আঁচিল গুলিয়ে যেতে পারে। আপনারা সহজে নাও চিনতে পারেন। কিছু কিছু Moles ক্যানসারও সৃষ্টি করতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হচ্ছে, আঁচিল হলে ডাক্তারের মাধ্যমে পরীক্ষা করিয়ে নিবেন। আপনার ফ্যামিলি ডাক্তার অথবা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডায়াগনোসিস করতে পারবেন। তারা Visual exam এর মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় diagnosis করবেন। যদি প্রাথমিক অবস্থায় সন্দেহ হয়, তাহলে biopsy করতে পারেন। (biopsy হচ্ছে শরীরের কোনো স্থান থেকে টিস্যু নিয়ে আরও ভালো করে পরীক্ষা করা)

এলোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি আঁচিলের চিকিৎসা:

* আঁচিল অপসারণের জন‍্য বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ইলেকট্রোডেসিকেশান।

* ক্রায়োসার্জারি পদ্ধতিতে তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আক্রান্ত কোষকে কেটে অপসারণ করা যায়।

* লেজারের মাধ্যমে আঁচিলের চিকিৎসা করা সম্ভব।

* কিছু ক্ষেত্রে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, ইমিকুইমড ক্রিম ক্যানথারিডিন এককভাবে পোডোফিলিনের সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব‍্যবহার করা যেতে পারে।

আঁচিলের হোমিও প্রতিকার

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, নিরাপদ, কার্যকর ও স্থায়ী চিকিৎসা। আপনার ও পরিবারের যেকোন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় সবার আগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও পরামর্শ নিন। আমরা জানি যে হোমিওপ্যাথিতে রোগের নামে কোন ঔষধ নেই। তাই আঁচিল চিকিৎসাতেও লক্ষণ মিলিয়ে ঔষধ খেতে হবে। তাই আঁচিলের জন্য চিন্তা করে ঔষধ খেলে কোন উপকার হবে না। তাই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকগণ প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিসিন লক্ষণের উপর নির্বাচন করে থাকে নিম্নোক্ত উল্লেখ করা হয়েছে, নাইট্রিক এসিড, সালফার, ক্যালকেরিয়া কালসিনেটা, থুজা, হিপার সালফ, এন্টিম ক্রুড, কষ্টিকাম, নেট্রাম মিউর, ডালকামারা, লাইকোপেডিয়াম, সাইলেসিয়া, কেলি মিউর, নেট্রাম সালফ, সিপিয়া সহ আরো অনেক মেডিসিন লক্ষণের উপর আসতে পারে। তাই আঁচিলের সমস্যার জন্য একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে মেডিসিন খাবেন, নিজে নিজের ডাক্তারি করবেন না, কারণ রোগীর রোগের লক্ষন মিলতে হবে অন্যথায় উপকার পাওয়া যাবে না।

আঁচিল দূর করার উপায়

যদিও আঁচিল মানব দেহে ক্ষতিকর কোন প্রভাব ফেলে না কিন্তু সৌন্দর্য ব্যাহত করে বলে অনেকে এটি নিয়ে অনেকটাই বিব্রত হয়ে থাকেন। বিশেষ করে মুখের আঁচিল দূর করার উপায় অনেকে হন্য হয়ে খুঁজে বেড়ান। তবে যদি আপনার আঁচিল থেকে চুলকানি, আকৃতি বড় হয়ে যাওয়া, পুজ হওয়া, রক্ত বের হওয়া এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মুখের আঁচিল দূর করার ক্রিম রয়েছে তবে তা নিজে নিজে ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এছাড়াও নিম্নোক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই আঁচিল দূর করতে পারবেন।

* রসুনঃ রসুনের একটি কোয়া ভালোভাবে ছিলে নিয়ে সেটি আঁচিলের ওপর চেপে কোন কিছু দিয়ে ব্যান্ডেজ করে রেখে দিন। এভাবে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা রেখে দিলে কিছুদিন পর আস্তে আস্তে আঁচিল দূর হবে।

* অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করেও সহজে আঁচিল দূর করা যায়। প্রতিদিন অল্প একটু তুলোর সাথে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মেখে নিয়ে আঁচিলের ওপর এক ঘন্টা যাবত ব্যান্ডেজ করে রেখে দিন। এভাবে ১৫ দিন নিয়মিত ব্যবহার করলে আঁচিল দূর করা সম্ভব।

* কলার খোসাঃ উপরের উপায় গুলোর মতই কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের ওপর চাপ দিয়ে রেখে দিন। এতে করেও আঁচিল দূর হয়।

* আয়োডিনঃ ৫% আয়োডিন প্রতিদিন সকালে ও রাতে এক ফোঁটা করে আচিলে মেখে রেখে দিন। এভাবে সাত দিন নিয়মিত ব্যবহার করলে আঁচিল উঠে যাবে।

* বেকিং সোডাঃ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক চিমটি বেকিং সোডা নিয়ে তার সাথে কয়েক ফোঁটা কাস্টর অয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে রেখে দিন।

* আঙ্গুরের রসঃ প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার আঙ্গুরের রস নিয়ে আঁচিলের ওপরে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এভাবে এক মাস ব্যবহার করলে আঁচিল দূর হবে খুব সহজেই। তবে অন্যান্য উপায় গুলোর চেয়ে এটি অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ।

* স্ট্রবেরিঃ আচিলে স্ট্রবেরি রস ব্যবহার করতে পারেন যা এটি নির্মূল করতে সহায়তা করবে।

* এলোভেরাঃ হাতের কাছে যদি এলোভেরা থাকে তবে আঁচিল নিয়ে কোন চিন্তা নেই। অ্যালোভেরার পাতা কেটে নিয়ে তার ভেতরে থাকা জেলি আঁচিলের ওপর লাগিয়ে দিন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলেই আঁচিল দূর হয়ে যাবে।

* অস্ত্রোপচারঃ আপনি চাইলে উপরের ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করে শরীরের যে কোন স্থান থেকে আঁচিল নির্মূল করতে পারবেন। তবে এগুলোর বাহিরে ও বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার বা সার্জারি করে আঁচিল নির্মূল করা সম্ভব।

সতর্কতা

আঁচিল দেখতে শরীরের উচ্ছিষ্ট অংশের মতো হলেও এটি শরীরের সাথে অতপ্রত ভাবে সংযুক্ত। সুতরাং কখনোই আঁচিলে খোঁটা খুঁটি করবেন না বা কেটে ফেলার চেষ্টা করবেন না। কেটে ফেললে আঁচিলের জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হবে এবং পরবর্তীতে পুনরায় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আঁচিল দূর করার হোমিও ঔষধ অনেকেই সেবন করে উপকৃত হয়ে থাকেন। তবে এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। তাছাড়া উপরের উপায়গুলো অবলম্বন করে খুব সহজেই আঁচিল নির্মূল করতে পারবেন আপনার শরীর থেকে। তবে সন্দেহজনক কোন কিছু দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখক: চিকিৎসক,কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান,জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।