আগস্ট মাসে সহিংসতায় ৫৪১ জনের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশজুড়ে সহিংসতায় ৫৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ওই প্রতিবেদনে সহিংসতার কারণ হিসেবে রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্ব, পুলিশ স্টেশনে হামলা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনাকে দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এই ঘটনাগুলো দেশের গভীর সামাজিক ত্রুটিগুলো উন্মোচিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দু ও আহমদিয়ারা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি-ঘর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে হামলা হয়। আগস্টের প্রথম পাঁচ দিনে ছাত্র ও বিক্ষোভকারীদের নির্বিচারে হত্যার পর এই সহিংসতা শুরু হয়।
১২টি সংবাদপত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে এইচআরএসএস বলছে, আগস্টজুড়ে সহিংসতায় ৫৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ আগস্টের পর রাজনৈতিক সহিংসতায় মোট ২২ জন নিহত এবং ৫৩৭ জন আহত হন। নিহত ২২ জনের মধ্যে ১২ জন বিএনপির এবং ১০ জন আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দুজন সাংবাদিক নিহত ও ৬১ জন আহত হয়েছে।
বিক্ষোভ চলাকালে যাত্রাবাড়ীতে সাংবাদিক মো. আতিকুর রহমান, সিরাজগঞ্জে প্রদীপ কুমার ভৌমিক নিহত হন। আগস্টে ৩৮ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
রাজনৈতিক সহিংসতার ৪৯টি ঘটনার মধ্যে ২৪টি বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্বে, ২১টি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বে, চারটি আওয়ামী লীগের অন্তর্দ্বন্দ্বে এবং একটি বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেছে।
এইচআরএসএস জানায়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর অন্তত ৬৫টি হামলা চালানো হয়, যাতে ৬১ জন আহত হয়। মোট ২২৮টি হিন্দু বাড়ি, ২৪০টি হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ১৫টি মন্দির হামলার শিকার হয়। নাটোর, ধামরাই, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, যশোর, নোয়াখালী, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনায় এসব হামলা হয়েছে। এ ছাড়া পঞ্চগড় ও রংপুরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এইচআরএসএস বলছে, সহিংসতার প্রকৃত পরিসংখ্যান অনেক বেশি হতে পারে। কারণ তাদের কাছে থাকা তথ্যগুলো শুধু গণমাধ্যম থেকে নেওয়া।
(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪)