২০১৩ সালে হাবিবুরকে তুলে এনে গুলি করে হত্যা
সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল কবীরসহ ৩৮ জনের নামে মামলা
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুর গ্রামের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, লুটপাট শেষে হাবিবর রহমান হবি নামের এক জামায়াত কর্মীকে তুলে এনে নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের পিতা আকবর আলী বাদি হয়ে সাতক্ষীরার তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১২ জনকে আসামি করে আজ বুধবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্যতম আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের তৎকালিন সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হক, উপপরিদর্শক হেকমত আলী, উপপরিদর্শক শরীফ নেয়াজী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে ৩৩ জন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী সন্ত্রাসী কায়দায় পিকআপ ও মাইক্রোবাসযোগে বাদির বাড়িতে আসে। ঘরে ঢুকে ৩০ মিনিট ধরে তা-ব চালায় তারা। ওই আসামীরা বাদির বাড়িতে ৫০ হাজার টাকা ও পাঁচ ভরি সোনার গহনা, দলিল ও কাগজপত্র লুটপাট শেষে আসবাবপত্রসহ সাত লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাঙচুর করে। মারপিট করে বাদি ও তার ছেলে হবিবর রহমান হবিকে। এ সময় হামলাকারিরা ফোন করলে পুলিশ সুপার চ্যেধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক, উপপরিদর্শক হেকমত আলী ও উপপরিদর্শক শরিফ নেয়াজীসহ কয়েকজন পুলিশ বাদির বাড়িতে আসে। পুলিশ ও অন্য আসামীরা বাদির ছেলে হাবিবুর রহমান হবিকে মারতে মারতে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ১৫ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে চারটার দিকে কদমতলার সোহরাব হোসেনের পুকুর পাড়ে বুকে হাবিবুরের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। ময়না তদন্ত ছাড়াই নামাজে জানাযা শেষে হাবিবুরের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তৎকালিন পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় বর্তমানে অনুকুল পরিস্থিতিতে এ মামলা করিতে বিলম্ব হইলো।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. অমিত কুমার রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪)