পলাশবাড়ীতে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির অভিযোগ

রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মাঠেরবাজার আবু বকর ফাজিল মাদ্রাসার ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সদস্যরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।
সরেজমিনে ও অভিযোগপত্রে জানা যায়,মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন থেকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মাদ্রাসার ক্ষতিসাধনসহ দীর্ঘদিন থেকেই সহকারি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম,ইদ্রিস আলী সরকার ও শফিকুল ইসলাম মাদ্রাসা আসেন না,তবে মাদ্রাসায় না এলেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন এই তিন শিক্ষক।
মাদ্রায়ার শিক্ষক হাজিরা খাতায় দেখা যায় গত জুলাই থেকেই এই তিন শিক্ষকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, তিন শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে মাদ্রাসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে,তারা কেন আসেন না আমাদের জানা নেই।
অভিভাবক সদস্য আব্দুল মালেক জানান, বিগত দিনে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এই তিন শিক্ষক যা ইচ্ছা তাই করেছে, গত জুলাই থেকেই আর মাদ্রাসায় আসেন না।
আরেক অভিভাবক সদস্য নাজমুল হক জানান, বিগত সরকারের আমলে তারা মাদ্রাসায় অনেক অনিয়ম করেছে, আমরা অভিভাবক সদস্যরা কিছু বললেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমাদেরকে হয়রানী করে।মাদ্রাসায় না এসে তারা বাড়ীতে বসে বেতন নিবে এটা হতে পারে না।
উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার জানান, তিন শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করার পর বোঝা যাবে ঘটনা কি।
উপাধ্যক্ষ রশিদুল ইসলাম জানান, ইদ্রিস আলী সরকারকে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকেই তিনি মাদ্রাসায় আসেন না, তার সাথে বাকী দু'জন শিক্ষকও আসেন না, তারা মাদ্রাসায় না এসে কিভাবে বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল ফোনে জানান, আমি শুধু কয়েকদিন থেকে যাইনা, অপর দু'জন শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করেননি।
ওই মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, আমি অভিযোগ পত্রটি দেখিনি, মাদ্রাসায় উপস্থিত না থেকে বেতন উত্তোলনের কোন নিয়ম নেই, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(আরআই/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪)