বোয়ালমারী  প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সহসভাপতি শেখ মো. কামরুল ইসলাম (৩৮)   হত্যাকান্ডের এক বছর পেরিয়ে গেলেও মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয়নি পুলিশ।

মামলার এক ও তিন নম্বর আসামি বকুল ও নজরুল জেলহাজতে থাকলেও বাকি দশ আসামি নিম্ন ও উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় রয়েছে।

মামলার বাদি কামরুলের বড় ভাই এসএম খায়রুল আলম অভিযোগ করে বলেন, জামিনে থাকা আসামিরা বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হত্যা মামলার আসামিরা কিভাবে আদালত থেকে জামিন পায় তা নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।

প্রভাবশালী লোকজন আসামিদের পক্ষে থাকায় এ মামলার ভবিষ্যত নিয়ে তিনি শংকা প্রকাশ করেন। ছেলে হত্যার শোক সামলাতে না পেরে তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা হাশেম মাষ্টার গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মা লাইলী বেগমও বর্তমানে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কামরুলের স্ত্রী তানজিলা আক্তার ও তার একমাত্র পুত্র মো. তানজিমুল ইসলাম তানজিম এ নির্মম হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার ও আসামিদের শাস্তি দাবি করেন।

মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নিপুন মজুমদার বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। এক আসামি হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ মামলার কোন আসামির পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিভিন্ন সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হওয়া এবং নানা কাজের চাপের কারণে চার্জশিট দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি আরো জানান।

উল্লেখ্য শিক্ষক কামরুল ইসলাম গত বছর ২৫ নভেম্বর তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন।


(এসি/এসসি/নভেম্বর২৬,২০১৪)