কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : ফরিদপুরের বোয়ালমারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিসহ নানা ধরণের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে তার পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ওই শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা এসময় প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ ও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন শ্রেণির কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নানা অশোভন অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে আসছে। তিনি ক্লাসে গিয়ে পড়ার প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে নানা ধরণের অশ্লীল গল্প করে শিক্ষার্থীদের হাত, কোমর ধরে টানাটানি করেন। এমনকি তিনি ছাত্রীদের গায়ের উপর ঢলে পড়েন। এ কারণে অনেকে তাঁর ক্লাস বর্জনও করেছে। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ২ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে, এর মধ্যে ওই শিক্ষককে পদত্যাগ অথবা বদলী করাতে হবে বলে হুশিয়ারী দেন। তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে কঠিন কর্মসূচি নিবেন বলে জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, “মনির স্যার আজকে আমার হাত টেনে ধরে অমর্যাদা করেছে। আমি তার মেয়ে সমতুল্য। কেন তিনি আমার হাত ধরে টান দিলেন? এর আগেও অনেক মেয়ের কোমর টেনে তাকে শ্লীলতাহানি করেছে। এমনকি মনির স্যার আমাদের এক সহপাঠিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাই আমরা এমন দুশ্চরিত্রবান শিক্ষকের পদত্যাগ চাই। আমরা তাঁর কাছে নিরাপদ নই।”

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. মনির হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি মহল শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়েছে। আমি কোন অন্যায় করিনি।

অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রশেখর দাশ বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধীক অভিযোগ রয়েছে। সেটা ডিজি বরাবর দেয়া হয়েছে। দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় ওই অভিযোগ নিয়ে এখনো কোন পদক্ষেপ হয়নি। তবে তাঁর জন্য আমার স্কুলের বদনাম হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানাবো। তাঁর পরে তারা যে পদক্ষেপ নেয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কি হয়েছে আমার জানা নেই। মিডিয়া কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখনো কেউ এ বিষয়ে আমার কাছে আসেনি।

(কেএফ/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪)