রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ৪ লক্ষ টাকা দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় স্কুলের এক আয়াকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের মৃত জিতেন্দ্রনাথ মন্ডলের কন্যা শান্তনা রানী মন্ডল বলেন, আমি কুরশী উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়া পদে কর্মরত আছি। গত ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারী বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হই এবং গত ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি যোগদান করি ও গত মে ২০২৩ মাসে এমপিও ভুক্ত হই।

এ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বিদ্যালয়ে দায়িত্বপালন করলেও উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের কুরশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আমার নিকট ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করছেন। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদর্শন করছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর বেলা ২ টার সময় কুরশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় এবং আমাকে বলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৪ লাখ টাকা দিতে হবে। তাতে রাজি না হওয়ায় রাজিব, আওয়ামী লীগ নেতা কবিরসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আমাকে ঘিরে ধরে এবং চাকুরী থেকে অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমাকে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে।

এসময় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত হলে আমাকে হুমকি দিয়া বলে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে টাকা না দিলে তোকে জোরপূর্বক চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়াবো। আর এ ঘটনায় থানা পুলিশ করলে তোকে হত্যা করে ফেলবো। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হবে।

বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের কুরশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে অস্বীকার করে বলেন, আগের প্রধান শিক্ষক চার্জ বুঝে না দেওয়ায় নিয়োগপ্রাপ্তদের নিকট তাদের নিয়োগপত্র চাওয়া হয়েছে। কাউকে পদত্যাগে বাধ্য বা টাকা চাওয়া হয়নি।

(একে/এএস/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪)