সুবর্ণচরে ধানের চারা ও কৃষি উপকরণ বিতরণ

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আজ নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আওতাধীন চর জব্বর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ধানের চারা এবং কৃষি উপকরণ সরবরাহ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল সোমবার উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের ভূঁইয়ারহাট বাজারে এসব ধানের চারা এবং বিজ বিতরণ করা হয়।
কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউমানিটি (কেএফএইচ) এবং এগ্রি স্টুডেন্টস এলায়েন্স বিডি এর যৌথ আয়োজনে ঢাকা ব্যাংকের সহযোগিতায় আজ ১০০ জন কৃষককে ধানী গোল্ড ও বিনা-১৭ জাতের ধানের চারা বিতরণ করা হয়। প্রতিজন কৃষককে ১ বিঘা জমিতে চাষের উপযোগী চারা এবং ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, ডিএপি সার ও প্রয়োজনীয় কীটনাশক দেয়া হয়েছে। আরও ১০০জন কৃষককে এ সহায়তা দেয়া হবে।
ঢাকা ব্যাংকের কৃষি ব্যাংকিং ইউনিটের এসভিপি ও হেড জনাব মো. কাতেবুর রহমান বন্যার্তদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহীত এ উদ্যোগে সম্পৃক্ত হয়ে কৃষকদের পাশে থাকতে পেরে নিজেদের সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন। কৃষকদের কল্যানে গৃহীত অন্যান্য কার্যক্রমেও সহযোগিতা করবেন মর্মে উক্ত অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন।
এগ্রি স্টুডেন্টস এলায়েন্স বিডি'র আহ্বায়ক আশিকুর রহমান বন্যার কারণে কৃষি জমিতে যথাসময়ে রোপণের জন্য ধানের চারা উৎপাদনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে নিয়ে কৃষকদের সহায়তার লক্ষ্যে এ উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছেন মর্মে জানান। ধান চাষের মৌসুম অনুযায়ী উপযুক্ত জাতের বীজের স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে পর্যাপ্ত ধানের চারা দিতে না পারলেও অন্যান্য ফসলের বীজ ও চারা সরবরাহ করে হবে মর্মে জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে কেএফএইচ এর চেয়ারম্যান জনাব মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম জানান খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে কেএফএইচ এই উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। কৃষি তথা কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে ভবিষ্যতে আরও কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানান।
বন্যার কারণে বীজতলায় পানি থাকায় কৃষকগণ যথাসময়ে বীজতলা প্রস্তুত করতে পারেনি। যৎসামান্য উঁচু জমিতে তিন থেকে চার বার ধান বপণ করলেও তা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাঁরা নিরুপায় অবস্থায় ছিলেন। চারা ও কৃষি উপকরণ পেয়ে বেশ উপকৃত হয়েছেন মর্মে উপস্থিত কৃষকগণ জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্যে চারা উত্তোলন, পরিবহণসহ সার্বিক বিষয়ে সমন্বয় করেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইমরান খান চৌধুরী।
এ সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এগ্রি স্টুডেন্ট এলায়েন্স এর সেক্রেটারি এবং কেএফএইচ সেক্রেটারী জেনারেলসহ উভয় সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠান আয়োজনসহ কৃষক নির্বাচনে সুবর্ণচর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জনাব মো. হারুন অর রশিদ সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪)